কলকাতা

বেশি দূরে নেই  ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নবান্নের

Not far away Cyclone 'Remal', precautionary measure of Navanna

The Truth of Bengal: ‘রেমাল’ আর বেশি দূরে নেই, রবিবারই আছড়ে পড়বে স্থলভাগে। বঙ্গোপসাগরে তা আরও দানা বাঁধছে। শনিবার থেকেই আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে নবান্ন। ৬ জেলায় খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। বঙ্গোপসাগরে দানা বাঁধছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। ক্রমশ এগিয়ে আসছে স্থলভাগের দিকে। আর বেশি দূরে নেই, জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। শনিবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটতে শুরু করবে। পরের দিন অর্থাৎ রবিবার আছড়ে পড়বে ‘রেমাল’। আলিপুর আবহাওয়া দফতর ও দিল্লির মৌসম ভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে রবিবার সকালের দিকে রেমাল আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।

ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের মধ্যে যেকোনো জায়গায় আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাও এই তালিকার মধ্যে রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা বা উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকাতেও আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকছে এই ঘূর্ণিঝড়ের। মৌসমভবন জানাচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড় মাঝারি মাপের। রেমাল প্রবল শক্তিশালী কোন ঘূর্ণিঝড় রূপে আছড়ে পড়বে না। ঘন্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা। এর জেরে শনিবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। দক্ষিণ বঙ্গের  অধিকাংশ জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস।

বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা ও ঝড়ো হওয়া বয়ে যাবে, জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে নবান্ন। ৬ জেলায় খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ বাসিন্দাদের সরিয়ে আনছে প্রশাসন। এদিকে শনিবার রয়েছে ষষ্ঠ দফা নির্বাচন। আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশনও। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।

Related Articles