রাজ্যে সাইবার অপরাধ দমনে বড় সাফল্য, গ্রেফতার ‘জামতাড়া গ্যাং’-এর ৪৬ সদস্য
Major success in curbing cyber crime in the state, 46 members of Jamtara gang arrested

Truth of Bengal: রাজ্য পুলিশের বিশেষ অভিযান ‘অপারেশন সাইবার শক্তি’-তে ধরা পড়ল ৪৬ জন সাইবার প্রতারক। প্রায় ১৫ দিন ধরে পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য পেল পুলিশ। ধৃতদের বেশিরভাগই ঝাড়খণ্ডের কুখ্যাত জামতাড়া গ্যাং-এর সদস্য বলে দাবি তদন্তকারীদের।
বৃহস্পতিবার ভবানী ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানান, গত এক মাসে বীরভূম, আসানসোল-দুর্গাপুর, চন্দননগর, পূর্ব বর্ধমান ও হুগলি জেলায় ২৫০-রও বেশি সাইবার প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছিল। প্রতারকরা ডিজিটাল অ্যারেস্টের ভয়, কম সুদে ঋণ, বিমা চালুর প্রতিশ্রুতি ও বিমানবন্দরে চাকরির লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করছিল।
সাইবার প্রতারণার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে ডিআইজি অমিত কুমার রাঠোরের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়।
প্রথম সাফল্য আসে ১৫ দিন আগে, যখন বীরভূমের খয়রাশোল থেকে তিনজন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। জেরায় উঠে আসে জামতাড়া গ্যাংয়ের যোগসূত্র। এরপর ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে একে একে আরও ৪৬ জন প্রতারক ধরা পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্র কয়েক কোটি টাকার জালিয়াতি করেছে। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪.৫ লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। এছাড়াও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৮৪টি মোবাইল ফোন, ৮৪টি সিম কার্ড, ১০০-র বেশি ভাড়া নেওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও একাধিক ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড।
খয়রাশোল জামতাড়ার সীমান্তবর্তী হওয়ায় প্রতারকরা এখানে এসে বাড়ি ভাড়া নিয়ে প্রতারণার কারবার চালাচ্ছিল। অপরাধ ঘটিয়ে ফের জামতাড়ায় পালিয়ে যেত তারা। তবে পুলিশের কড়া নজরদারির কারণে এখন তারা রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও ছত্তিশগড়েও জাল বিস্তার করেছে।
পুলিশের দাবি, ধৃতদের মধ্যে কিছুজন এ রাজ্যের বাসিন্দা। তাদের জেরা করে চক্রের আরও সদস্যদের সন্ধান করা হচ্ছে।
এডিজি সুপ্রতিম সরকার জানান, ‘‘এই বড় সাফল্যের ফলে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
রাজ্যে সাইবার অপরাধ রুখতে পুলিশের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।