জাল পাসপোর্টকাণ্ডে লালবাজারের আতস কাঁচে দুই ডিভিশনের ৫টি থানা
Five police stations from two divisions in Lalbazar's Atas Kanchee area in fake passport case

Truth Of Bengal: পাসপোর্ট জালিয়াতির চক্রের বড় মাথা আব্দুল হাই। প্রাক্তন এসআইকে জেরা চালিয়ে মিলছে নানা বিস্ফোরক তথ্য। অভিযুক্ত সমরেশ বিশ্বাসকে জেরা করে মোক্তার আলম, মনোজ গুপ্তার কথা জানা যায়। এরপর ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ে বেড়াল। পুলিশ জানতে পারে এই ঘুঘুর বাসায় যুক্ত করেছে প্রাক্তন পুলিশ কর্তারাও। আব্দুল হাইয়ের সম্পর্কে জানতে পারে তদন্তকারীরা। গত শুক্রবার হাবড়ার অশোকনগর থেকে গ্রেফতার করা হয় এই প্রাক্তন এসআইকে। দীর্ঘদিন ধরে লালবাজারে পাসপোর্ট বিভাগের কর্তব্যরত ছিলেন তিনি। এক বছর আগে চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি। সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আবদুল। জাল ১৫০টি পাসপোর্টের মধ্যে ৫২টির এনকয়ারি অফিসার ছিলেন অভিযুক্ত। সেই সুবাদে চক্রের অনেককে চিনতেন।
আব্দুল হাইকে জেরা করেই খোঁজ মেলে জালিয়াতি চক্রের আরও পান্ডাদের। পূর্ব বর্ধমান থেকে ধরা হয় ভাস্কর সামন্তকে। ধৃতের বাড়ি হুগলির খানাকুলে। পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সময় জাল শংসাপত্র জমা দেওয়ার অভিযোগে দিন কয়েক আগে হুগলির সিঙ্গুর থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে জালিয়াতিতে ব্যবহৃত মোবাইল, সিমকার্ড এবং একটি কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ভাস্করের গ্রেফতারির পর জাল পাসপোর্ট তৈরির চক্রে আরও অনেকে জড়িত বলে সন্দেহ করে পুলিশ। সেইমতো এবার অভিযান চালিয়ে চন্দননগর থেকে ৩ অভিযুক্তকে ধরা হয়। ধৃতরা হল মহঃ ইমরান, মোহন সাউ ও বিশ্বজিৎ ঘোষ। গ্রেফতার করা হয়েছে অস্থায়ী ট্রাফিক হোমগার্ডকে। এবার পুলিশের অন্দরমহলে হানা দিতে তৈরি তদন্তকারীরা।
লালবাজারের আতসকাঁচে রয়েছে দুই ডিভিসনের ৫টি থানা। ভেরিফিকেশনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিকরা সন্দেহের তালিকায়। সন্দেহভাজনদের জেরার মুখে বসাতে সত্যসন্ধানীদের তত্পরতা জারি। আবাসের মতোই পাসপোর্ট জালিয়াতিতে অ্যাকাউন্ট ভাড়া করার চক্রের হদিশ। অ্যাকাউন্ট ভাড়া করে ১০টি পাসপোর্ট তৈরি করার গুরুতর অভিযোগ।
তাই এই জালিয়াতির জাল কতদূর ছড়িয়ে রয়েছে তা খুঁজে বের করার জন্য তদন্তকারীরা অনুসন্ধান চালাচ্ছে। পুলিশ কর্তা থেকে হোমগার্ড,জালিয়াতির দালাল থেকে সন্দেহভাজন সবাইকেই জেরা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।