ক্ষমতায় আসার পর জামায়তে ও ছাত্র শাখার ওপর হাসিনার চাপিয়ে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলল ইউনূস
After coming to power, Yunus lifted the ban imposed by Hasina on Jamaat and student wing

Truth Of Bengal : বাংলাদেশের মসনদে থাকাকালীন শেখ হাসিনা সন্ত্রাস যোগের অভিযোগ তুলে জামায়াতে ১ অগস্ট ইসলামী এবং তাদের শাখা সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের উপরে নিশেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এরপর ৫ অগস্ট গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন। এই মুহূর্তে হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। তবে হাসিনার পর বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইসলামী ও তাদের ছাত্র শাখার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
গোয়েন্দারা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির কোনোরকম যোগাযোগের প্রমান না মেলাই এই বিষয়ে প্রথমে সরকারে কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। তারপরে এই দুই সংগঠনের উপর থেকে হাসিনা সরকারের চাপিয়ে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয় বলে উল্লেখ রয়েছে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের নোটিসে। ইতিমধ্যেই যত দ্রুত সম্ভব নিষেধাজ্ঞা খারিজের সিদ্ধান্ত কার্যকরের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি প্রজ্ঞাপনে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে সব চেয়ে তৎপর রাজনৈতিক দল হিসাবে উঠে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। এখন ইসলামী দলগুলিকে এক মঞ্চে হাজির করে তারা বাংলাদেশে ইসলামি শাসনব্যবস্থা চালু করতে ইতিমধ্যেই আন্দোলনে নেমেছে।আর এজন্য জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বিবদমান ইসলামি দলগুলিকে নিয়ে আলাদা আলাদা করে সভা করে তাঁদের কাছ থেকে সমর্থন আদায়ের কাজও করেছেন। এদিকে জঙ্গি নেতা জসিমুদ্দিন রহমানিকে মুক্তি দেওয়ার পরে কোনও কথা না বললেও, জামায়াতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এ বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন।
আসিফ নজরুল এ বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন, ছাত্র আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে এবং ছাত্র শাখার সাথে সন্ত্রাস যোগের কারণ দেখিয়েই শেখ হাসিনার সরকার জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করে ছিল।কিন্তু হাসিনার পর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর মনে করেছেন যে জামায়াতে ও ছাত্র সংগঠনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা অন্যায় এবং অযৌক্তিক। আর তাই তিনি তাঁদের ওপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন।