এবার প্রতারণা শেয়ার মার্কেটে, দিল্লির এক মহিলা খোয়ালেন ২৩ লক্ষ টাকা
This time fraud in the share market, a woman from Delhi lost 23 lakh rupees

The Truth Of Bengal : বর্তমানে সময়ে সাইবার প্রতারণা দিন দিন যেন লাগামছাড়া হয়ে উঠছে। এখন আর টাকা গায়েব করতে দরকার নেই ওটিপির সটান ব্যাংক থেকে উধাও হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এবার শেয়ার বাজার জালিয়াতিতে প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা খোয়ালেন দিল্লির এক মহিলা।
সূত্রের খবর, দিল্লির ৩২ বছর বয়সী এক মহিলা এটি ‘জাল’ বিনিয়োগ ওয়েবসাইটে ২৩.৫ লক্ষ্য টাকা হারিয়েছেন। এক সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ওই ভুক্তভোগী মহিলা প্রথমে অল্প পরিমাণে টাকা বিনিয়োগ করতে শুরু করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে টাকা রিটার্ন পাওয়ার পর পরবর্তীকালে তিনি আরো টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এরপর তিনি আর কোন টাকা রিটার্ন পাননি। টাকা হাতে না পেয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ব্যর্থ হন। এরপর ১০ই এপ্রিল দিল্লির উত্তর-পূর্ব সাইবার থানায় ওই মহিলা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগ, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। প্রায় ২৩.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে হারিয়েছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ অভিযুক্ত কে খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়। অভিযুক্তের নাম মোহাম্মদ দাউদ , বয়স ২৯, বাড়ি দিল্লির মৌজপুরে।
কিভাবে প্রলুব্ধ হলেন মহিলা?
এক সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুসারে, ওই মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ওয়েবসাইটে এসেছিলেন যেটি স্টক মার্কেটে ব্যবসা করে উচ্চ লাভের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এরপর তিনি ওয়েবসাইটে দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করেন। অভিযুক্তরা তাকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে প্রভাবিত করেন। তাদের কথায় প্রভাবিত হয়ে প্রথমে ওই মহিলা ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করেন। পরে তিনি ১৩০০ টাকা ফেরত পান। এরপর ওই মহিলা মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করলে পরবর্তীকালে অভিযুক্তরা আর সেই টাকা ফেরত দেননি। অনেক যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনোভাবেই তাদের নাগাল পাওয়া যায়নি।
পুলিশ মোট কত টাকা ওই মহিলার হাতে তুলে দিতে পেরেছে?
জানা যায়, পুলিশ তদন্ত চালিয়ে দাউদের ব্যাংক থেকে ৮.৫৫ লক্ষ্য টাকা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়। দাউদের ব্যাংক হিস্ট্রি জানান দিচ্ছে বাকি টাকা তিনি বিভিন্ন একাউন্টে স্থানান্তর করেছেন। তার কাছ থেকে মোট ১৭ টি সিম কার্ড, ১১ টি ডেবিট কার্ড, ৪ টি পাসবুক, ১৫ টি চেক বই, দুটি স্ট্যাম্প এবং একটি ফোন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (উত্তর-পূর্ব) জয় টির্কি জানান, “এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি দল গঠন করা হয়েছিল। অর্থের ট্রায়াল চেক করার সময় দেখা গিয়েছিল ১১ টি বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা করা হয়েছিল। ”
অপর এক উচ্চপদস্থ অফিসার জানান, ” দল অভিযুক্তকে মৌজপুর এলাকা থেকে খুঁজে বের করেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দাউদ একজন সহযোগীর সাহায্যে লোকদের প্রতারণা করত। তাকেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেপ্তার করা হবে।”