বর-বউকে চুমু খেতেই তুলকালাম,বরপক্ষকে বেধড়ক মার কনেপক্ষের, রণক্ষেত্র মাল্যদান অনুষ্ঠান!
Kissing the bride and groom, beat the bride and groom, the wedding ceremony of the battlefield!

The Truth of Bengal: এদেশে ঘুষ নেওয়া অপরাধ নয়,চুমু খাওয়া অপরাধ।গায়ক নচিকেতা একথা তাঁর গানের মাধ্যমে তুলে ধরেন। ঘটনাটা যে সত্যি তা এবার প্রমাণ করল উত্তপ্রদেশ। উত্তরপ্রদেশের হাপুরের অশোকনগরে আয়োজন করা হয়েছিল বিয়ের আসরে মাল্যদানের অনুষ্ঠান।কিন্তু আচমকা বর অপরূপ সুন্দরী বউকে চুম্বন করতেই তুলকালাম বাঁধে।কনেপক্ষ মনে করে,প্রকাশ্যে চুম্বন করে বর মেয়েটির সম্মানহানি করেছেন। এই ধরণের ঘটনা সবথেকে অপরাধ বলেও তাঁরা মনে করেন। বরের ভালোবাসার মূল্য দেয়নি কোনের বাড়ির লোকজন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা বরপক্ষকে লাঠি নিয়ে মারধর শুরু করে। বরের বাবা সহ ৬জনকে জখম করেন উদ্ধত কনেপক্ষ।
তাতে বানচাল হয়ে যায় মাল্যদানের অনুষ্ঠান।রাতের সামাজিক বন্ধনের অঙ্গীকার হাতাহাতিতে পর্যাবসিত হয়।আরও জানা গেছে,মেয়ের বাবা দুটি কন্যার একসঙ্গে বিয়ের আয়োজন করে হাপুরে। প্রথম মেয়ের বিয়ে শান্তিতে শেষ হলেও দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে রক্তারক্তি হয়। বরের বাবা সহ পরিজনেরা জখম হন। কেন এই রক্ত ঝরল ? কেন ভালোবাসার অনুষ্ঠান হিংসার চেহারা নিল? জানা গেছে, মাল্যদানের অনুষ্ঠানের আগেই বর চুম্বন করেন।তাঁকে বারবার বারণ করা হয়।তবু সুন্দরী বউকে পেয়ে তিনি সেই সুযোগ ছাড়েননি।ফুলশয্যার আগেই এই চুম্বনের চমক কার্যতঃ সম্পর্কের অবনতি ঘটায়।হবু বধূও তাতে আপত্তি তোলে।সঙ্গে সঙ্গে কোনে পক্ষের বাড়ির লোকেরা প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন।
বরপক্ষের বিরুদ্ধে অশোভন কাণ্ড করার জন্য কোনেপক্ষ শোরগোল ফেলেন।সবক শেখাতে উদ্ধত বাহিনী দেদার মারধর শুরু করে।মারের চোটে যেভাবে বরের বাড়ির এতজন লোক আহত হয়েছেন তা বেনজির ঘটনা।যোগীরাজ্যের কাণ্ডকারখানায় হতবাক সারা দেশ।পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে,তদন্তে নেমেছে।সামাজিক শান্তি নষ্ট করার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫১ নম্বর ধারায় ৬জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।বিয়ের আসর ভেঙে যাওয়ায় কার্যতঃ মেয়েটির কী হবে তাই নিয়ে প্রশ্নও তুলছেন প্রতিবেশীরা।মনে করা হচ্ছে মেয়েটির পরিবার এই চুম্বন কাণ্ডের জন্য আর এই পাত্রের সঙ্গে কোনওমতেই বিয়ে দিতে চান না।