দেশ

Indian rupee: রেকর্ড ভাঙা পতন ভারতীয় টাকার, ডলারের সাপেক্ষে দর প্রায় ৯০-এর দোরগোড়ায়

এই প্রবণতা বজায় থাকলে ৯০ টাকার অঙ্ক ছোঁয়া এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।

Truth of Bengal: নভেম্বর মাসের শেষে ভারতীয় মুদ্রা ফের এক নতুন (এবং উদ্বেগজনক) ইতিহাস তৈরি করল। আমেরিকার ডলারের সাপেক্ষে ভারতীয় টাকার দাম এখন প্রায় রেকর্ড পতন ছুঁয়েছে। বর্তমানে ১ ডলারের দাম গিয়ে ঠেকেছে ৮৯ টাকা ৪১ পয়সায়, যা স্বাধীনতার পর থেকে টাকার মূল্যের সবচেয়ে বড় ব্যবধানগুলির মধ্যে অন্যতম। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতা বজায় থাকলে ৯০ টাকার অঙ্ক ছোঁয়া এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। পরিসংখ্যান বলছে, ভারতীয় মুদ্রার পতন কতটা তীব্র। ১৯৯০ সালের আশেপাশে যেখানে ১ ডলারের দাম ছিল মাত্র ২২ টাকা ৭৪ পয়সা, ২০১৩ সালে তা বেড়ে হয় ৬৩ টাকা ৩৩ পয়সা। আর এখন তা ৯০-এর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

বাজার বিশেষজ্ঞরা ভারতীয় টাকার এই লাগাতার পতনের পিছনে তিনটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছেন: ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। বিদেশি লগ্নিকারীরা লাগাতার ভারতীয় শেয়ার বাজারে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফরেক্স মার্কেট নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)-এর পক্ষ থেকে সময়মতো উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া।

টাকার এই লাগামছাড়া দাম কমাতে অবশেষে আসরে নেমেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আরবিআই-এর হস্তক্ষেপের পর কিছুটা হলেও ভারতীয় টাকার দামে স্থিতাবস্থা ফিরে এসেছে। তবে, টাকার এই পতনের কারণে দেশের আমদানিকৃত পণ্যগুলির দাম আরও বাড়তে পারে। যা সাধারণ মানুষের পকেটে চাপ বাড়াবে। অন্যদিকে, যে সব পণ্য ভারত থেকে বিদেশে রফতানি হয়, সেই সব ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা পেতে পারে ভারতীয় সংস্থাগুলো। টাকার দাম কম হওয়ায় তারা বেশি লাভবান হবে। এই পরিস্থিতিতে সকলের নজর এখন আরবিআই-এর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেই। টাকার দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক কী ধরনের নীতি গ্রহণ করে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।

Related Articles