দেশ

Delhi Red Fort Blast: দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে ফের গ্রেফতার চিকিৎসক! কানপুর থেকে ধৃত মহম্মদ আরিফ

এনআইএ সূত্রের দাবি, ধৃত আরিফ হৃদ্‌রোগবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাড়ি জম্মু ও কাশ্মীরে হলেও, তিনি কানপুরের অশোকনগর এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন।

Truth of Bengal: দিল্লির লালকেল্লার অদূরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ফের এক চিকিৎসককে আটক করল তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ আরিফ নামে এক যুবক চিকিৎসককে। তাকে আটক করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)।তদন্তকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত আরিফের সঙ্গে দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হওয়া মহিলা চিকিৎসক শাহীন সিদ্দিকীর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। শাহীন-সহ মুজাম্মিল আহমেদ ও উমর উন-নবির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগসূত্রের সূত্র ধরেই আরিফের খোঁজ পায় এনআইএ। এনআইএ সূত্রের দাবি, ধৃত আরিফ হৃদ্‌রোগবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাড়ি জম্মু ও কাশ্মীরে হলেও, তিনি কানপুরের অশোকনগর এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। বৃহস্পতিবার ভোরে সেই বাড়িতেই হানা দিয়ে তাঁকে আটক করে তদন্তকারী দল।অন্যদিকে, একই দিনে চণ্ডীগড় ও পঞ্জাবের মোহালিতে একাধিক স্থানে তল্লাশি চালিয়ে আরও একজনকে আটক করেছে এনআইএ। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শাহীন, মুজাম্মিল, উমর এবং আরিফদের নেতৃত্বে গঠিত একটি জেহাদি মডিউল আগামী ৬ ডিসেম্বর দিল্লির ছয়টি স্থানে ধারাবাহিক বোমা হামলার পরিকল্পনা করেছিল। তদন্তে উঠে এসেছে, হামলার পরিকল্পনার একাধিক তথ্য। প্রথমত, বিভিন্ন রাজ্যের চিকিৎসক পড়ুয়াদের মগজধোলাই করে নিজেদের সংগঠনে যুক্ত করা হয়।এরপর গঠন করা হয় আলাদা মডিউল বা দল।হরিয়ানা ও গুরুগ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা হয় বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক ও আইইডি সামগ্রী।বিস্ফোরক তৈরি করে দলের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করা হয়।শেষ ধাপেই ছিল দিল্লির নির্দিষ্ট এলাকাগুলিতে একযোগে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো।সূত্রের দাবি, মূলত ২০২৫ সালের অগস্ট মাসে এই হামলার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু নানা কারণে তা পিছিয়ে ৬ ডিসেম্বর  অর্থাৎ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বার্ষিকীতে হামলার তারিখ ঠিক করা হয়।

উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লার কাছে একটি সাদা রঙের হুন্ডাই আই ২০ গাড়িতে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ১২ জনের। বিস্ফোরিত গাড়িটি চালাচ্ছিলেন চিকিৎসক উমর উন-নবি। ওই দিনই ফরিদাবাদে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা পুলিশের যৌথ দল। গ্রেফতার করা হয়েছিল মুজাম্মিল আহমেদ-সহ কয়েকজনকে।দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। এখন এনআইএর মূল লক্ষ্য এই চিকিৎসক-চক্রের পিছনে থাকা জঙ্গি সংগঠনগুলির যোগসূত্র উদ্ঘাটন করা।

Related Articles