মানুষ গড়ার কাজে ‘বাধা’ কেন্দ্রের, ১২০০ কোটি টাকা না মেলায় ক্ষোভ
Center's 'obstacle' in the work of building people, anger at not matching 1200 crore rupees

The Truth of Bengal: কেন্দ্র মানুষ গড়ার কাজেও বাধা দিচ্ছে।রাজনীতির শিকার বাংলার শিক্ষাও। সর্বশিক্ষা মিশনের প্রাপ্য ৪৮৫কোটি টাকা না মেলায় কেন্দ্রের বিজেপির বিরুদ্ধে এভাবেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।কেন যুগ্ম তালিকায় থাকা শিক্ষা নিয়ে বেনজির বঞ্চনা করা হচ্ছে তা নিয়েও সরব শিক্ষামহলের একাংশ। শিক্ষা সবার অধিকার।আর সেই অধিকার বা আলো সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে সর্বশিক্ষা মিশন চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার।২হাজার সালে সর্বজনীন শিক্ষার ভাবনা কার্যকর করার জন্য এই মিশন পূরণে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু হয়।মূলতঃ ৬থেকে ১৪ বছর বয়সের প্রতিটি শিশুকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত গুণগত শিক্ষা সুনিশ্চিত করাই এই প্রকল্পের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য। একটি নিয়মতান্ত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার কাছে অতিরিক্ত সহায়ক শক্তি হিসেবে জায়গা পায় এই মিশন।
- সর্বশিক্ষা মিশন নিয়েও কেন্দ্রীয় রাজনীতি
- ৪৮৫কোটি টাকা আটকে রাখার অভিযোগ
- ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১৫০০ থেকে ১৭০০কোটি
- টাকা পাওনা ছিল বাংলার সরকারের
- প্রাপ্যের মধ্যে ৩১১কোটি টাকা কেন্দ্র দিলেও
- বাকি টাকা এখনও মেটায়নি
- সর্বশিক্ষা মিশনের ১২০০কোটি টাকা আটকে রেখে
রাজ্য সরকার প্রথাগত শিক্ষার বুনিয়াদ শক্তিশালী করার জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে।বাজেটে দেওয়া তথ্য অনুসারে, উন্নতমানের শিক্ষাদানের লক্ষ্যে ৮০০টি জুনিয়র হাইস্কুলকে হাইস্কুলে উন্নীত হয়েছে।২,২০০টি হাইস্কুলকে হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে উন্নীত করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষার ভিত গড়তে ১২বছরে ৫২টি কলেজ ও ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় গড়া হয়েছে।একইসঙ্গে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ই-লার্নিংয়ের জন্য দেওয়া হচ্ছে ট্যাব ও স্মার্টফোন। এককালীন ১০হাজার টাকা করে
দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের। কন্যাশ্রী-সবুজসাথী,ঐক্যশ্রীর মতো প্রকল্প কার্যকর হওয়ায় এবং একগুচ্ছ শিক্ষা সহায়ক কর্মসূচি সুফল দিচ্ছে। ২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত দুবছরে স্কুলছুটের সংখ্যা,৩.৩ শতাংশ থেকে ১.৫শতাংশে নেমে এসেছে। সবার জন্য শিক্ষার ভাবনাকে কার্যকর করার জন্য সর্বশিক্ষা মিশনের কর্মষজ্ঞ এখন আলাদা গতি পেয়েছে।সেইসময়ে কেন্দ্রেরএই দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি প্রশ্ন তুলেছেন,
- কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক অনুমোদন দিয়েছে
- শিক্ষামন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ অর্থবিভাগ বরাদ্দ করেছে
- তবুও সর্বশিক্ষা মিশনে রাজ্যের
- প্রাপ্য টাকা ছাড়ছে না কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক
- পিএমশ্র্রী প্রকল্পে মউ সই না করার জন্য
- বাংলাকে কি এই শাস্তি ?
কেন কেন্দ্রীয় সরকার একশদিনের কাজ বা আবাসের মতোই শিক্ষা নিয়েও ভাগাভাগির রাজনীতি করছে তাই নিয়ে শিক্ষামহলের একাংশের মতই প্রশ্ন তুলেছেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।