
The Truth of Bengal: দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারের বিরোধ চলছেই। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পক্ষে রায় দিলেও, কেন্দ্র অর্ডিন্যান্স জারি করে, দিল্লি সরকারের আমলাদের বদলি ও শাস্তির অধিকার নিজেদের হাতেই রেখেছে। সেই রেশ এখনও কাটেনি। তার আগেই নয়া ফাঁসে অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে কোভিড ১৯-এ যখন গোটা দেশ লকডাউনে চলে গিয়েছে। সেই সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজের বাসভবনের মেরামতির কাজ শুরু করেন।
বিরোধীদের অভিযোগ, বাসভবন মেরামতির জন্য লাগামছাড়া অর্থ খরচ করেছেন। শুধু তাই নয়, উপরাজ্যপালের অনুমোদন ছাড়াই তিনি কৌশলে বিপুল অর্থ বরাদ্দ করিয়ে নিয়েছেন। বিদেশ থেকে বিপুল টাকা খরচ করে ঘরের পর্দা, বাথরুমের টাইল থেকে বাথ টাব, কাঠের দেওয়ালে খরচ করেছে। বিরোধীদের দাবি, একটি বিশেষ পরিমাণ খরচ দিল্লির মন্ত্রিসভা নিতে পারে। কিন্তু তার বেশি হলে, উপরাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সেই বিপুল অঙ্কের টাকাকে বেশ কয়েকটি খাতে খরচ দেখিয়ে উপরাজ্যপালের অনুমোদনকে বাইপাস করেছেন। এখানেই বিপুল অঙ্কের দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। বিষয়টি তথ্যসহ দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় উপরাজ্যপালের।
বিরধীরা দাবি করেছেন, একটি বাসভবন মেরামতি করতেই ৫৩ কোটি টাকা খরচ করেছেন। যেখানে ১০ কোটির মধ্যে নতুন বিলাসবহুল বাংলো তৈরি হয়ে যায়, সেখানে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি করা হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ পাওয়ার পরেই, উপরাজ্যপাল বিনয় কুমার সাক্সেনা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে ফাইলসহ চিঠি পাঠান তদন্তের জন্য। সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই বিশেষ অডিটের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। উল্লেখ্য, বাসভবন মেরামতি সংক্রান্ত আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় ভিজিল্যান্স একটি তদন্ত করেছিল। সেই রিপোর্ট মাস খানেক আগেই উপরাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হয়।