মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে ক্ষমা চাইলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর
BJP MP Shantanu Thakur apologized for holding the Matua vote bank

The Truth Of Bengal: মতুয়াগড়ে মুখ পুড়ছে বিজেপি নেতাদের। জনতার চাপে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে চাইলেন ক্ষমা।কেন্দ্রের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন বিজেপি সাংসদ।আধার বাতিলে মতুয়াদের ক্ষোভের মুখে শান্তনু।
আধার কার্ড বাতিলের কারনে সব চেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। এ বার কেন্দ্রের তরফে এই সমস্যা মেটানোর দায়িত্ব দেওয়া হল মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে। সোমবার দিল্লির সাংবাদিক বৈঠকে এই সমস্যা তৈরি হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। তিনি জানান, “সম্পূর্ণ প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্যই এই সমস্যা হয়েছে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। সেখানে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও ছিলেন। বৈঠকে শাহ আমাকে এই সমস্যা মেটানোর দায়িত্ব দিয়েছেন।’’
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে ওই বৈঠকের পরেই একটি পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি জানিয়ে বলেন,” এই ঘটনায় আধারের রাঁচী আঞ্চলিক দফতরের ভুল হয়েছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হবে। তবে শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, “যাঁদের এমন সমস্যা হয়েছে, তাঁদের একটি ফর্ম পূরণ করে নতুন করে আধার সক্রিয় করার আবেদন করতে হবে।” এরপর তিনি সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া টি বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে বলেন, “আমায় ফোনে বা ইমেল করে ফর্ম পাঠাতে হবে। এর পরে আমিই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা দিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সব আধার সক্রিয় করে দেব। গ্রাহকদের কাছে এই সমস্যার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বলছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যাবতীয় সঙ্কট কাটিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেব আমি।শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশের যে কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে এবং ফর্ম পূরণ করে পাঠালে আমি দায়িত্ব নিয়ে আধার সক্রিয় করে দেব।’’
আধার বাতিলে রাজ্যজুড়ে বাড়ছে ব্যাপক অসন্তোষ। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে বিজেপি নেতাদের দোষারোপ করছেন। আধার বাতিল করে মতুয়াদের অধিকার হরণের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানাচ্ছেন অনেকেই। এদিকে মমতাবালা ঠাকুর বিজেপিকে নিশানা করে ঘোষণা করেন, কেন্দ্রীয় অব্যবস্থার প্রতিবাদ চলবে। তাহলে প্রশ্ন উঠছে সামনের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে শুধুমাত্র মতুয়াদের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই কী শান্তনু ঠাকুরের এমন পদক্ষেপ?
FREE ACCESS