
The Truth of Bengal, Mou Basu: দীর্ঘ সময় ধরে নাইট শিফটে কাজ করলে তা আমাদের খাদ্যাভ্যাস, ক্ষুদাভাবকে প্রভাবিত করে ভীষণ ভাবে। শরীরের বায়োলজিক্যাল ক্লক ক্ষতিগ্রস্ত হয় যা হরমোনের নিঃসারণকে ব্যাহত করে। যে হরমোন আমাদের খিদে ভাবকে প্রভাবিত করে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে নাইট শিফটে রাত জেগে কাজ করলে ওজন বাড়ে। ব্রিটেনের ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
নাইট শিফটে রাত জেগে কাজ করলে ব্যাহত হয় শরীরের বায়োলজিক্যাল ক্লক। তাই সারাক্ষণ ক্লান্তি ভাব দেখা যায়। অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসারণ হয় গ্লুকোকর্টিকয়েড হরমোন যা আমাদের খিদে ভাব ও মেটাবলিজম বা বিপাকক্রিয়া প্রভাবিত করে। না ঘুমিয়ে রাত জেগে কাজ করলে এই হরমোনের নিঃসারণ ব্যাহত হয়। যে সময় কাজ করছেন না সেই অলস মুহূর্তে হাবিজাবি ভাজাভুজি খাবার বেশি খেতে ইচ্ছে করে। গ্লুকোকর্টিকয়েড হরমোন আমাদের শরীরে মস্তিষ্কে থাকা পেপটাইডকে নিয়ন্ত্রণ করে যা খাইখাই ভাব করে তোলে (এই পরিস্থিতিকে বলে orexogenic) আবার কখনো বা খাওয়ার ইচ্ছে কমিয়ে দেয় (এই পরিস্থিতিকে বলা হয় anorexigenic)। Communications Biology নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্র।
নাইট শিফটে রাত জেগে কাজ করলে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন-
ওয়েট ম্যানেজমেন্ট বা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কোয়ালিটি ঘুম খুবই জরুরি। হাবিজাবি ভাজাভুজি খাবার খাবেন না। বাড়ির খাবার খান। ব্যালেন্সড ডায়েট করুন। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, প্রোটিন, হোল গ্রেন, ফল, সবজি খান। রাতে অস্বাস্থ্যকর হাই ক্যালরিযুক্ত খাবার খাবেন না।
রাত জেগে নাইট শিফটে কাজ করলে শরীরকে আর্দ্র রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। হাবিজাবি ভাজাভুজি খাবার খেয়ে পেট ভরানোর প্রবণতা হবে না। তবে প্রচুর পরিমাণে চিনি কার্বোনেটেড সফট ড্রিঙ্ক খাবেন না।
নাইট শিফটে ঘুম যাতে না পায় তার জন্য অনেকেই প্রচুর পরিমাণে চা বা কফি খান। কিন্তু চা আর কফিতে থাকা ক্যাফিন স্বাভাবিক ঘুমকে ব্যাহত করে ওজন বাড়িয়ে তোলে।
নাইট শিফটে প্রচুর মানসিক উদ্বেগ ও চাপের মধ্যে কাজ করতে হয় তাই স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করা জরুরি।
Free Access