স্বাস্থ্য

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে জিরের জল, ব্রণ আর ফুসকুরি দূর করবে

ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা ফিরিয়ে আনতে যুগ যুগ ধরে জিরের ব্যবহার হয়ে আসছে ত্বকের পরিচর্যায়।

Truth Of Bengal: হাজার একটা নামি-দামি বিউটি প্রোডাক্ট যা করতে পারে না, তাই করতে পারে সামান্য কয়েকটি গোটা বা ভাঙা জিরের দানা। পুষ্টিগুণে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমটরি গুণ সমৃদ্ধ জিরে রান্নার স্বাদ বাড়ায়। তেমনই রাতভর জলে জিরের দানা ভিজিয়ে রাখুন। সেই জল পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খান। শরীর থেকে টক্সিন বের হয়। ব্রণর সমস্যা দূর হয়। চুলকানি, লালচে ভাব দূর হয়। ত্বকের টেক্সচার ভালো হয়। ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা ফিরিয়ে আনতে যুগ যুগ ধরে জিরের ব্যবহার হয়ে আসছে ত্বকের পরিচর্যায়। সব রকমের ত্বকের পরিচর্যায় জিরে উপযুক্ত।

জলে রাতভর ভিজিয়ে রাখুন জিরের দানা বা জলে ফুটিয়ে নিন। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ও অ্যান্টিইনফ্লেমটরি গুণ সমৃদ্ধ জিরে ভেজানো জল ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। জিরে ভেজানো জল খেলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়। ত্বকের মলিনতা, ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা দূর হয়। শরীরের প্রাকৃতিক ভাবে ক্লিনজিং বা পরিষ্কার করার প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে জিরে।

একজিমা, ত্বকের লালচে ভাব, ফোলা ভাব দূর করতে সাহায্য করে জিরে ভেজানো জল। ভেজানো জিরের দানা সরাসরি লাগিয়ে রাখলেও উপকার মেলে। জিরে ভেজানো জল টোনার হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন অথবা খেতেও পারেন। অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ থাকে বলে ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়াকে ধ্বংস করে।

ভিটামিন সি ও খনিজ পদার্থ আছে বলে জিরে ভেজানো জল খেলে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং স্বাভাবিক জেল্লা ফিরে আসে। তৈলাক্ত ত্বকে ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। জিরে ভেজানো জল খেলে সেবামের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ হয় না। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ জিরে ভেজানো জল খেলে ত্বকের অকালে বুড়িয়ে যাওয়া, ফাইন লাইনস, বলিরেখা দূর হয়।