
The Truth of Bengal: কথায় আছে ,” মাছে ভাতে বাঙালি “। আর সেই মাছ যদি ইলিশ হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। ইলিশ মাছ খেতে চায় না এমন বাঙালি বোধ হয় খুঁজে পাওয়া ভার। যেকোনো অনুষ্ঠানে বাঙালির পাতে ইলিশ থাকবেই। এমনিতেই বাঙাল বাড়িতে ইলিশের প্রচলন বহু দিনের। তাই আপনাদের জন্য রইল বরিশালি ইলিশের একটু নতুন রেসিপি। কীভাবে বানাবেন এই রেসিপি জেনেনিন সেলিব্রিটি শেফ রঙ্গন নিয়োগীর থেকে।
উপকরণ
- ইলিশ মাছ ৬ পিস চাকা চাকা করে কাটা
- গোটা কালো সরষে- ১ টেবিল চামচ
- গোটা সাদা সরষে- ১ টেবিল চামচ
- নারকেল বাটা- ৪ টেবিল চামচ
- টক দই- ১০০ গ্রাম
- কালো জিরে- ১/২ চা চামচ
- গোটা কাঁচালঙ্কা – ৪ টি
- নুন স্বাদ অনুসারে
- হলুদ গুঁড়ো- ১ চা চামচ
- শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ
- সরষের তেল ৩ টেবিল চামচ
প্রণালী
ইলিশ মাছের পিসগুলো ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং ১/৪ চা চামচ নুন দিয়ে ম্যারিনেড করে রাখতে হবে। কালো ও সাদা সরষে গরম জলে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর ভেজানো সরষে জল থেকে তুলে তার সঙ্গে ১/৪ চা চামচ নুন এবং একটা কাঁচালঙ্কা দিয়ে মিহি করে বেটে নিতে হবে। এই বাটা সরষের সঙ্গে ১/৪ কাপ জল মিশিয়ে সেই মিশ্রণটিকে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে যাতে সরষের খোসা না থাকে। টক দই খুব ভালোভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে যাতে ডেলা না থাকে। এবার সরষে বাটা, নারকেল বাটা, ফেটানো দই, নুন, লঙ্কার গুঁড়ো আর ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে এবং কাঁচালঙ্কা চিরে এই মিশ্রণে দিয়ে দিতে হবে। এখন একটি পাত্রে দু টেবিল চামচ সরষের তেল দিয়ে তাকে গরম করে নিতে হবে। তেল গরম হলে কালো জিরে ফোড়ন দিয়ে তার মধ্যে উপরের মিশ্রণটি দিয়ে, ১/২ কাপ জল দিয়ে দিতে হবে। মিশ্রণটি ভালোভাবে ফুটতে শুরু করলে তার মধ্যে ম্যারিনেড করা ইলিশ মাছের টুকরোগুলো দিয়ে দিতে হবে। দশ মিনিট ফোটার পর মিশ্রণ খানিকটা ঘন হলে তার মধ্যে দুই টেবিল চামচ সরষের তেল দিয়ে আরও দু- মিনিট রান্না করে গ্যাস বার্নারের আগুন বন্ধ করে দিয়ে রান্না হওয়া বরিশালি ইলিশ নামিয়ে ভুনা খিচুড়ি বা ভাতের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
Free Access