
Truth Of Bengal: কথা দিয়ে কথা রাখার আর এক নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার প্রমাণ হয়েছে, তিনি যা বলেন দ্রুত তা করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সন্তোষ ট্রফি জিতে দেশ সেরা হয়ে ফেরা বাঙালি ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তিনি দলের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। এখানেই থেমে থাকেননি। গরিব ফুটবলারদের জন্য সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
দ্রুত সম্ভব সেই চাকরি যাতে তাঁদের দেওয়া সেই ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে বলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে নিজের দেওয়া কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাকে দেশের সেরা করে সন্তোষ কাপ জয়ী ফুটবলারদের হাতে তুলে দিলেন সরকারি চাকরির নিয়োগ পত্র। ২ জানুয়ারি ফুটবলাররা দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। ৮ জানুয়ারি তাঁদের হাতে নিয়োগ পত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলার ফুটবলাররা পেলেন পুলিশের এএসআই পদে চাকরি। ফুটবলারদের হাতে নিয়োগ পত্র তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গর্বিত সন্তোষ জয় করা আমাদের ছেলেদের জন্য। সন্তোষ জয়ীরা আজ সবাই পুলিশে চাকরি পেয়ে গেলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর হিসেবে।’ কথা রাখল রাজ্য সরকার। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গেই সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দলের ফুটবলারদের চাকরিতে নিয়োগ করল রাজ্য প্রশাসন।
বুধবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা ফুটবলারদের হাতে রাজ্য সরকারিব চাকরির নিযোগপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফুটবলাররা পুলিশে চাকরি পেলেন। বুধবার সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় বাংলা দলের কোচ ও ফুটবলারদের। সেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমে সংবর্ধনা দেওয়া হয় ফুটবলার এবং কোচ সঞ্জয় সেনকে।
এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব ফুটবলারদের হাতে একে একে চাকরির নিযোগপত্র তুলে দেন। এই ফুটবলাররা সবাই প্রায় এসেছেন গরিব পরিবার থেকে। তাঁদের জন্য একটা চাকরি খুবই দরকার। বাংলাকে দেশ সেরা করা ফুটবলাদের সংসারের জন্য একটা চাকরি প্রয়োজন। এটা অনুধাবন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেটা যেমন ভাবা তেমন কাজ। মাত্র ৬ দিনের মধ্যে বাংলার ফুটবলাররা পেলেন চাকরি। কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী।