শনিবারের মতোই রবিবারও সন্দেশখালিতে তুমুল উত্তেজনা, পুলিশ ধরপাকড়ে রুখে দাঁড়ায় মহিলারা
Just like Saturday, there was great excitement in Sandeshkhali on Sunday

The Truth of Bengal: শনিবারের মতোই রবিবারও সন্দেশখালিতে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়।পুলিশ ধরপাকড় করতে গেলে মহিলারা রুখে দাঁড়ায়। নির্বাচন পরবর্তী গন্ডগোলে যুক্ত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।অবস্থা বুঝে সন্দেশখালিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ধারা।৪ঠা জুন পর্যন্ত ন্যাজাট এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা লাগু করা হয়েছে।তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন,বিজেপি হেরে যাওয়ার ভয়েই অশান্তি করতে চাইছে। জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অশান্তির আঁচ কিছুতেই নিভছে না।ভোটের আগে যে গন্ডগোল শুরু হয় ভোট মিটে যাওয়ার পরেও তা অব্যাহত রয়েছে।তাই ভোট-পরবর্তী হিংসা রুখতে ও এলাকাবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তৎপর পুলিস। শনিবার সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনের সময় ও নির্বাচনের পরেও গন্ডগোল হয়েছিল। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী গ্রেফতার হন। বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা আহতও হন।
এলাকার মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ও এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তৎপর পুলিস। সন্দেশখালি থানায় ইতিমধ্যেই একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিস আধিকারিকেরা এসেছেন, সেখানে বৈঠক করছেন। রাজবাড়ি আউটপোস্ট থেকে বিভিন্ন জায়গায় পুলিস মোতায়ন করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।রবিবার পুলিশ ধরপাকড়ে গেলে অবস্থা উত্তাল হয়।মহিলারা পথে নেমে এসে প্রতিবাদ করে।তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন,ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে বিজেপির অশান্তি জিইয়ে রাখতে চাইছে।
অশান্তি সৃষ্টির ঘটনা বারবার সামনে আসায় ভোটের পরের দিনই সন্দেশখালিতে জারি হল ১৪৪ ধারা। রবিবার থেকে ৪ জুন পর্যন্ত ন্যাজাট থানা এলাকার সরবেড়িয়া থেকে বয়ারমারি পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন। রবিবার এই ঘোষণা করেছেন বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার হোসেন মেহেন্দি রহমান। শেষ দফার ভোটে শনিবার বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হয়েছে। শনিবার ভোটের দিন ওই লোকসভার অন্তর্গত সন্দেশখালিতে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। ভোটের দিন দফায় দফায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বেড়মজুর, বয়ারমারি, আগারহাটি, কানমারি ইত্যাদি এলাকা। ভোটের পর যাতে সন্দেশখালিতে অশান্তি না ছড়ায় সেজন্য পুলিশ-প্রশাসন নজরদারিও বাড়াতে তত্পর।