ভ্রমণরাজ্যের খবর

শ্রাবণে শৈবতীর্থে ভক্ত সমাগম! খুলতে পারে পর্যটনের দুয়ার

Debra old shiv mandir

The Truth of Bengal: শ্রাবণ মাস এবার ৩২দিন। অন্যবারের তুলনায় তাই এবার শ্রাবণে শিবকে সন্তুষ্ট করতে পারলে বেশি পুণ্য মিলবে বলে ভক্তদের বিশ্বাস।আর সেই বিশ্বাসে ভর করেই শ্রাবণের শেষবেলায় শিবের মাথায় জল ঢালছেন ভক্তরা।সাধারণতঃ তারকেশ্বর হল শৈবতীর্থ,সেখানে দেশ-বিদেশের শিবের অনুগামীরা যান বেশি মাত্রায়।কিন্তু রাজ্যের এমন কিছু তীর্থ স্থান আছে যার কথা অনেকেরই অজানা।যার বিষয়ে ভক্তরাও কেউ কেউ জানেন না।সেইসব আলোর আড়ালে থাকা তীর্থস্থানের ধর্মকথা আমরা তুলে আনছে বাংলা জাগোর পর্দায়।যাতে স্থান মাহাত্ন্যের কথা জেনে শৈব ভক্তরা যান।খুলে যায় পর্যটনের দুয়ার।

কথিত আছে, ডেবরার কেদার ভুড়ভুড়ী ও চপলেশ্বর জীউর মন্দির, প্রায় ৭০০ বছরের প্রাচীন! জড়িয়ে রয়েছে সোলাঙ্কিদের ইতিহাস সহ বহু অলৌকিক কাহিনী। ১৩০১ সালে উড়িষ্যায় শোলাঙ্কিদের আক্রমণ করে আলাউদ্দিন খিলজির। সোলাঙ্কি রাজা দেবনাথ রায়, কেশিয়াড়ি হয়ে বাংলায় প্রবেশ করেন, আত্মগোপন করেন কেদার কুন্ডের জঙ্গলে যার বর্তমান নাম চন্ডিপুর। জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে উষ্ণ প্রস্রবণ দেখতে পায় রাজা দেবনাথ। সেই রাতেই মহাদেবের স্বপ্নাদেশ পান মন্দির তৈরির। একটু উঁচু জমিতে ১২৯৯ সাল নাগাদ ওই চপলেশ্বর মন্দির গড়ে তোলেন।তারপর ধীরে ধীরে  এই পবিত্র স্থানে লক্ষ  লক্ষ মানুষ আসেন। এবার সেই ভিড় বেড়ে যায়।

জনশ্রুতি রয়েছে,   রাজা দেবনাথ ‘রায়’ উপাধি পেয়েছিলেন। সেখান থেকেই রাজ্যের নাম ‘দেবরায়’ হয়ে পরে ‘ডেবরা’ হয়েছে। ইতিহাস বলছে, ডেবরা ছিল বাংলা ও ওড়িশা যাওয়ার সংযোগস্থল।এখন সেই মন্দির সংলগ্ন এলাকায় সাধারণের সমাগম বেড়েছে।ভক্তরা আসছেন,আর্শীবাদ পেতে, তাঁরা মানসিক তৃপ্তিও পাচ্ছেন। পরম্পরা মেনে প্রাচীন রীতি ধরে রাখ শিব সাধনার এই ভূমিকে কেন্দ্র করে অনেক কিছু সম্ভাবনা রয়েছে।পর্যটকরাও এই বাংলা ওড়িশ্যার সীমানায় বেড়াতেও আসছেন,তাই একটু নজর দিলে এই এলাকার নান্দনিক অভিনবত্ব সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে বলে আশায়  শৈবতীর্থ  কেশিয়াড়ি এলাকার মানুষ।

Related Articles