আন্তর্জাতিক

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্পের বড় পদক্ষেপ

দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের অতিরিক্ত শুল্কের কারণে আমদানি নির্ভর বহু খাদ্যপণ্যের দাম হু  হু করে বেড়েছে।

Truth Of Bengal: মার্কিন বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি রুখতে অবশেষে শুল্কনীতিতে শিথিলতা আনলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক নির্বাহী আদেশে ২০০-রও বেশি খাদ্যপণ্যে শুল্ক কমানোর ঘোষণা করেন তিনি। এর ফলে গোমাংস, কলা, কফি, কমলালেবুর রস, টম্যাটো-সহ একাধিক পণ্যের দাম কমতে চলেছে আমেরিকার বাজারে।স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হয়েছে শুল্কছাড়। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল, ট্রাম্প প্রশাসনের অতিরিক্ত শুল্কের কারণে আমদানি নির্ভর বহু খাদ্যপণ্যের দাম হু  হু করে বেড়েছে। মুদ্রাস্ফীতি চাপা রাখার চেষ্টা করলেও সাধারণ নাগরিকের ক্ষোভ বাড়ছিল দিনদিন। বিশেষ করে সাম্প্রতিক স্থানীয় নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের সাফল্যের পর চাপ আরও বেড়েছিল হোয়াইট হাউসের উপর।

যে সব পণ্য থেকে শুল্ক উঠেছে, তার তালিকায় রয়েছে—কলা, কোকো, টম্যাটো, চা, ফলের রস, ট্রপিক্যাল ফল, বিফ-সহ বহু কৃষিজাত দ্রব্য। কিছু মশলা ও সারের ক্ষেত্রেও শুল্কের হার কমিয়েছে প্রশাসন। মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, এক বছরে বিফের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ, কলা ৭ শতাংশ, টম্যাটো ১ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে আমেরিকায় খাদ্যসামগ্রীর দামই বেড়েছে ২.৭ শতাংশ। এই মূল্যবৃদ্ধিই প্রশাসনকে চাপে ফেলে।২০১৭ সালে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই শুল্কনীতি নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন ট্রাম্প। ভারত-সহ একাধিক দেশের পণ্যের উপর তিনি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক চাপিয়েছিলেন। এর প্রভাবে আমেরিকার সঙ্গে বহু দেশের বাণিজ্যর সম্পর্ক খারাপ হয়েছে, পাশাপাশি চড়া দাম ভুগিয়েছে আমেরিকাবাসীকে।

সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, কোনও কোনও ক্ষেত্রে শুল্কে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তেই পারে। তবে বর্তমান আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি নেই বলেই দাবি করেন তিনি। ট্রাম্প শিবিরের যুক্তি—যে সব পণ্যে শুল্ক কমানো হয়েছে তার অধিকাংশই আমদানিনির্ভর, ফলে এতে স্থানীয় উৎপাদকদের ক্ষতি হবে না।শুল্ক থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব দিয়ে ট্রাম্প বরাবরই অর্থনৈতিক সংস্কারের কথা বলেছেন। কিছু দিন আগে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আমেরিকানদের প্রত্যেককে ২ হাজার ডলার করে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হলে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন।অর্থনীতিবিদদের মতে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ নাগরিকের ক্ষোভ বাড়িয়ে তুলছিল। তাই রাজনৈতিক চাপ সামলাতেই ট্রাম্প কিছুটা পিছু হটতে বাধ্য হলেন।

Related Articles