Truth Of Bengal: বুধবার থেকে ফের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চলছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা। রেহাই পাচ্ছেন না প্রাক্তন সাংসদ-মন্ত্রীরাও। এমনকি হাসিনাকে সমর্থন করায় গ্রেফতার হতে হয়েছে বাংলাদেশের কলাকুশলীদের।
শুক্রবার রাতে গাজীপুরে প্রাক্তন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের বাড়িতেও চালায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। হামলাকারীদের ওপর পাল্টা হামলা চালায় স্থানীয়রা। চলে বেধড়ক মারধর। যার জেরে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতলে ভর্তি ১৫ জন। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। ঝামেলার খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে আসে সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ।
আহতদের উদ্ধার করে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। যাদের অবস্থা গুরুতর ছিল, তাদের ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান সংবাদমাধ্যমে জানান, ”প্রাথমিকভাবে খবর, ছাত্র-জনতার পরিচয় দিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই সময় স্থানীয় লোকজন হামলাকারীদের আটক করে মারধর করেছেন। এতে ১২-১৩ জন আহত হয়েছেন।”
শনিবার হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করতে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছাত্রদের উপর হামলায় জড়িতদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে বিচার করা হবে বলে আস্বস্ত করেন তিনি।
অপরদিকে শনিবারও সেই ছবি বজায় রয়েছে বাংলাদেশে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা ‘মার্চ টু গাজীপুর’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে । বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা-কর্মীরা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে এই সমাবেশ থেকে।