Truth Of Bengal: পবিত্র রমজান মাস শুরু হতেই বাংলাদেশে অপরাধের মাত্রা বেড়েছে। উৎসবের এই সময়ে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা বেশি ঘটে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ অভিযানের ধরন বদলানো হয়েছে। এতদিন ‘ডেভিল হান্ট’ নামে যে অভিযান চলছিল, তা বন্ধ করা হচ্ছে। রবিবার সচিবালয়ে এক বৈঠকে এই নাম বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও অভিযান পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না, বরং আরও জোরদার করা হবে।
রমজান মাসে ইদের কেনাকাটার সময় অপরাধীরা বেশি সক্রিয় হয়। বিশেষ করে, বড় শহরগুলোতে ছিনতাই, জাল নোটের কারবার এবং চুরি-ডাকাতির ঘটনা বাড়ে। এসব ঠেকাতে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। ব্যাংক, বিপণিবিতান এবং মহাসড়কে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে ‘ডেভিল হান্ট’ নামের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছিল। ১ মার্চ পর্যন্ত এতে ১১,৮৮২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি, দেশের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করতে একটি বিশেষ গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করছে। মূলত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থকদের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। তারপর থেকেই অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে বলে অভিযোগ। তাই, রমজান মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন কৌশল নেওয়া হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, শুধু অভিযান চালিয়ে অপরাধ দমন সম্ভব নয়, জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো দরকার। প্রশাসনও চাইছে, উৎসবের সময় অপরাধ যাতে না বাড়ে, সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যদিও নতুন অভিযানের কোনও নির্দিষ্ট নাম ঘোষণা করা হয়নি, তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও কঠোর নজরদারির প্রস্তুতি নিচ্ছে।