সঙ্কটে শীতের বিনোদন সার্কাসশিল্প,পশু-পাখির বদলে এখন ভরসা জিমন্যাস্টিক
Winter entertainment circus industry in crisis, instead of animals and birds, now rely on gymnastics

Truth of Bengal: এখন আর পশু-পাখির খেলা নেই। দেশ-বিদেশের শিল্পীদের নানা ধরনের জিমন্যাস্টিক ভরসা। শীতের বিনোদনে অন্যতম মাধ্যম সেই সার্কাস আজ টিকে আছে কোনও ভাবে। চলছে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই। গ্রাম বাংলার আজও সার্কাসের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তাই বিনোদনের পদ্ধতি বদলে নানা খেলা নিয়ে হাজির হচ্ছে সার্কাস।
শীতকালীন বিনোদনে একটা সময় অন্যতম মাধ্যম ছিল সার্কাস। সেই সার্কাস শিল্প আজ প্রায় মৃতপ্রায়। শীত পড়লেই শহর থেকে জেলা বিভিন্ন জায়গাতেই সার্কাস তাঁবু পড়ে। আগে বাঘ, সিংহ, হাতি ও অন্যান্য জীবজন্তুর খেলা দেখতে সার্কাসে ভিড় জমাতেন সাধারণ মানুষ। অনেকদিন হল সার্কাসে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সমস্ত ধরনের জীবজন্তুর খেলা। যা দেখার জন্য মানুষ দূর দূরান্ত থেকে ভিড় জমাতেন সার্কাসের তাঁবুতে। এখন সেই সার্কাসে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন শিল্পীর জিমন্যাস্টিক দেখতে ভিড় জমাচ্ছে সাধারণ মানুষ। শীতের শুরুতেই বোলপুর ডাকবাংলো ময়দানে বসেছে সার্কাস।
সেখানে চলছে নানা শারীরিক কসরতের খেলা। সঙ্গে রয়েছে নানা ব্যালেন্সিং-এর চমকীয় খেলা। গানের সঙ্গে নাচের তালে তালে খেলা দেখিয়ে দর্শকদের মন ভরাচ্ছেন শিল্পীরা। অন্ধকারের মধ্যেই গ্লোবের মধ্যে কয়েকজন যুবকের দুরন্ত বাইক রেস, যুবক-যুবতীদের কখনও দড়ির উপরে উঠে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যালান্সিং আছে আকর্ষণের তালিকায়। জীবজন্তুর খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এই ভাবে সার্কাস শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন মালিকরা। তবে প্রশ্ন কতদিন এই শিল্প টিকিয়ে রাখা যাবে।
লকডাউনের পর অন্য অনেক কিছুর মতো ব্যাপক প্রবাভ পড়ে সার্কাস শিল্পে। বন্ধ হয়ে যায় সার্কাস। ফলে বাঁচার জন্য এই শিল্পের সঙ্গে যুক্তরা কেউ হয়ে যান দিনমজুর। কেউ বা টোটো-অটো চালিয়ে উপার্জন শুরু করেন। কমে যায় সার্কাসে খেলোয়াড়ের সংখ্যা। পরে তাঁদের জায়গা নিয়েছেন বিদেশিরা।