West Bengal SIR Voter List: এসআইআরে ভোটাদের নাম বাদে দায় ইআরওদের , আইন কি তেমনই বলছে? চিঠি সিইওকে
সংগঠনের অভিযোগ, খসড়া ভোটার তালিকা থেকে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিপুল সংখ্যক ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার মাধ্যমে ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের (ইআরও) বিধিবদ্ধ ভূমিকা কার্যত উপেক্ষিত হচ্ছে।
Truth of Bengal: রাজ্যে চলমান এসআইআর বা ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গের ডব্লিউবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) অফিসার্স’ অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের অভিযোগ, খসড়া ভোটার তালিকা থেকে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিপুল সংখ্যক ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার মাধ্যমে ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের (ইআরও) বিধিবদ্ধ ভূমিকা কার্যত উপেক্ষিত হচ্ছে।
এই মর্মে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের দিন দেখা গিয়েছে—মৃত্যু, অভিবাসন, অনুপস্থিতি কিংবা অনুলিপি সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে যাঁদের গণনার ফর্ম ফেরত আসেনি, তাঁদের নাম সরাসরি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ও ১৯৬০ সালের ভোটার নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী, কোনও ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক (ধারা ২২)। আইন অনুযায়ী এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ায় ইআরও-দের ভূমিকা অবিচ্ছেদ্য হলেও, বর্তমান এসআইআর প্রক্রিয়ায় সেই দায়িত্ব পালনের সুযোগ মিলছে না বলে অভিযোগ।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতের নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে সংশোধনী প্রক্রিয়া সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করতেই পারে, কিন্তু বাধ্যতামূলক আইনগত বিধান উপেক্ষা করে একসঙ্গে এত সংখ্যক ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হলে তা যোগ্য ভোটারদের সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকারের পরিপন্থী হতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা কোনও কারণে গণনার সময় উপস্থিত থাকতে পারেননি, তাঁদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া গুরুতর অবিচার সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
ডব্লিউবিসিএস অফিসার্স’ অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ইআরও-দের অজান্তেই যদি ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যায়, তবে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবেই ইআরও-কেই দায়ী করবেন, যদিও প্রকৃত সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় তাঁদের ভূমিকা সীমিত ছিল। এই পরিস্থিতিতে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে—ইআরও-রা যেন তাঁদের আইনগত দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হোক। কারণ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ইআরও-র স্বাক্ষর ও সিলমোহরের মাধ্যমেই, নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত হয়।






