সরস্বতী সংস্কার করা হলেও মজে রয়েছে খালগুলো, বর্ষায় জল যন্ত্রণা হাওড়ার মাশিলার মানুষদের
Water woes in the monsoon to the people of Mashila in Howrah

The Truth of Bengal: সরস্বতী সংস্কার করা হলেও মজে রয়েছে খালগুলো। এখনও সংস্কার হয়নি সেইসব খাল। তাই ফি বছর বর্ষায় জল যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় হাওড়ার মাশিলার মানুষকে। স্থানীয় পঞ্চায়েত বলছে,কেন্দ্র ১০০দিনের টাকা না দেওয়ায় খাল সংস্কার করা যাচ্ছে না। যারজন্য শাখানদীগুলোর জল ছাপিয়ে চলে আসছে রাস্তায়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার যাঁতাকলে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে।
স্বাভাবিক প্রবাহ স্তব্ধ হতে বসা মৃতপ্রায় সরস্বতীকে বাঁচানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। হাওড়ার সাঁকরাইলের মোহনা থেকে প্রায় সাড়ে ১২ কিলোমিটার নদীকে পুণরুজ্জীবিত করার কাজ চলছে। নাব্যতা হারানো নদীর পলি তোলার কাজে জোর দিয়েছে সেচ দফতর। ব্যয় ধরা হয়েছে ৫কোটি ৩লক্ষ টাকা। বেশ কিছু জায়গায় ভেঙে যাওয়া নদী পাড় মেরামত হবে। কিন্তু সরস্বতী নদী সংস্কার হলেও নদীর সঙ্গে যুক্ত খালগুলোর হাল ফিরছে না। মজে যাওয়া খালে দেদার মানুষেরা এসে ফেলে যায় আবর্জনা। প্ল্যাস্টিক থেকে বর্জ্য সবই এই খালে ফেলে দিয়ে যায় অনেকে।এরপর বেহাল খাল সংস্কারের কোনও উদ্যোগ না থাকায় ফিবছর এই জেলার মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। বর্ষার আগে অশনিসংকেত দেখতে পান জেলার বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ। বিশেষ করে মাশিলার বাসিন্দাদের মাসুল গুণতে হয়,জল যন্ত্রণার জন্য।খাল সংস্কার না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে গ্রামের মানুষেরা। তাতে বাড়ছে ক্ষোভ,।
প্রশাসনের উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী সরস্বতী নদী সংস্কার এর কাজ শুরু হয়েছে। সকলেই খুশি এই নদী সংস্কার হওয়ার জন্য। তবে মাশিলা গ্রামের সাধারণ মানুষ আশঙ্কায় রয়েছে,এই ভেবে যে সামনের বর্ষায় আবারো জল যন্ত্রণা ভুগতে হবে এলাকার মানুষকে। সরস্বতী নদী সংস্কারের পাশাপাশি মাশিলা অঞ্চলের যেসব খাল গুলি আছে সেগুলিকেও সংস্কার করা প্রয়োজন, তা হলে সামনের বর্ষাতে জল যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাবে মানুষ।
খাল মজে থাকায় মাসিলা অঞ্চলের আলমপুর, মির্জাপুর সহ বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে থাকে। মাশিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গড়াই খান জানান এই শাখা খাল গুলো কয়েক বছর আগে যতোটুকু পেরেছিলেন সংস্কার হয়েছিল, কিন্তু পুরোপুরি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি অর্থের অভাবের জন্য। কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য নিকাশি ব্যবস্থা গুলিকে ঠিক করা যায়নি। ফিফটিন ফিন্যান্স এর যে অর্থ আসে তার কিছু নিয়ম থাকার জন্য খাল সংস্কারে জন্য কাজে লাগানো যাচ্ছে না। পঞ্চায়েত প্রধানের আবেদনে কি সরকারের নজরে পড়বে? বর্ষার আগে এই শাখা খাল গুলোকে সংস্কার না করলে জলের তলায় থাকতে হবে মাশীলার বেশ কিছু অঞ্চলের মানুষদের ।