রাজ্যের খবর

ডিভিসি জল না ছাড়ায় জল সঙ্কট আসানসোলে, বিমাতৃসুলভ আচরণ নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

Water crisis in Asansol as DVC does not release water, anger is growing over paternalistic behavior

Truth Of Bengal: কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিভিসি জল না ছাড়ায় জল সঙ্কটের কবলে পড়েছে শিল্পাঞ্চল আসানসোলের মানুষ। বিমাতৃসুলভ আচরণের জন্য এমনকি শিল্প সংস্থা ইস্কোর চ্যানেলেও ঢুকছে না জল। যারজন্য কারখানা চালাতে সমস্যা বাড়ছে কর্তৃপক্ষের।এখন টাউনশিপ এলাকা সহ আসানসোলের বিস্তীর্ণ এলাকায় জল-যন্ত্রণা বেড়েছে। এতে জনরোষ বাড়ছে  শিল্পাঞ্চলে।

ডিভিসি ইচ্ছেমতো জল ছাড়ায় প্রায়শই বাংলায় বন্যা হয়,এখন সেই কেন্দ্রীয় সংস্থা জল না ছাড়ায় জলকষ্টে ভুগতে হচ্ছে আসানসোলের মানুষকে। এমনকি ডিভিসি জল না ছাড়ায় ইস্কোর চ্যানেলেও ঢুকছে না জল। কারখানা চালাতে গিয়ে মহা ফাঁপরে পড়ছে কর্তৃপক্ষ। অবস্থা এতটাই গুরুতর যারজন্য টাউনশিপ এলাকা সহ আসানসোল পুরসভার বহু এলাকায় জলের অভাবে ত্রাহি ত্রাহি রব। ডিসেম্বরেই যেন গ্রীষ্মের দাপট, নদী শুকিয়ে একশেষ। নদীতে জল নেই বলে কালাঝরিয়া, ডিহিকা জল প্রকল্পে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। জলের জোগান কমে যাওয়ায় জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের একাধিক জল প্রকল্পও সমস্যার মুখে। অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিভিসি জল না ছাড়ায় ২০ লক্ষের ওপর জলসংযোগই করা হয়নি।

পুরপ্রশাসনের দাবি, নদীতে পর্যাপ্ত জল না থাকার জেরে জল প্রকল্পগুলিতে প্রভাব পড়ছে। বিভিন্ন এলাকায় পর্যাপ্ত জল সরবরাহ করতে সমস্যা হচ্ছে। ইস্কো কর্তৃপক্ষ আপৎকালীন ভাবে পুরসভার কাছে ট্যাঙ্কারে করে জল সরবরাহ করতে অনুরোধ করেছে। জেলাশাসকের মাধ্যমে আমরা ডিভিসিকে জল ছাড়তে অনুরোধ করা হয়েছে।

আসানসোল পুরসভার তরফ থেকে ডিভিসি কর্তাদের কাছে বেশ কয়েকবার চিঠি লেখা হয়েছে নিয়মমাফিক জল ছাড়ার জন্য। তবে সেই চিঠিতে কানে তোলেনি  ডিভিসি কর্তারা। প্রশ্ন উঠছে ডিভিসির ভূমিকা নিয়ে। বর্ষার সময় ডিভিসির সঙ্গে রাজ্যের চরম সংঘাত বেঁধেছিল। রাজ্যকে না জানিয়ে লক্ষ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়ে দিয়েছিল ডিভিসি। এর জেরে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই নিয়ে রাজ্যের তরফে দিল্লিকে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছিল। ডিভিসির বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার হয়। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ধারাবাহিকভাবে ড্রেজিং না হওয়ার কারণে ডিভিসির জল ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। ম্যানমেড বন্যা সৃষ্টি করে রাজ্যকে ভাতে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার বর্ষা চলে যাওয়ার পর সম্পূর্ণভাবে জল ছাড়া বন্ধ রেখেছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। আর শুকিয়ে গিয়েছে দামোদর। চরম জল সঙ্কট তৈরি হয়েছে। ডিভিসির জল না ছাড়া নিয়ে রাজনীতির গন্ধ দেখছেন অনেকেই। পুর-কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বর্ষার সময় না জানিয়ে লক্ষ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়ে দিচ্ছে আর  যখন জল ছাড়া দরকার তখন বন্ধ করে রেখেছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অঙ্গুলিহেলনে  ডিভিসি চলছে বলে অভিযোগ।

Related Articles