রাজ্যের খবর

অত্যাধনিক রাসায়নিক সারের ফলে বিপদ চাষে , ফলন বৃদ্ধি আশায় জৈব সার প্রয়োগ কৃষকদের

Farmers are the light of hope

The Truth of Bengal: জনসংখ্যা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে ১৯৬৮তে দেশে সবুজ বিপ্লব হয়। সবুজ কৃষি অঞ্চল বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রেকর্ড ফলন বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ফলন বাড়াতে গিয়ে রাসায়নিক সারের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বিপদ হয়। রাসায়নিক সারে থাকে নাইট্রোজেন মাটির দফারফা করছে। তথ্য বলছে,সারের নাইট্রোজেনের ৩০% গাছ নিতে পারে। শাক-সব্জি-ফলের মাধ্যমে তা নাইট্রেট আকারে শরীরে ঢুকছে। পরে যা নাইট্রাইটে পরিণত হচ্ছে। বাকি ৭০%-এর একটা বড় অংশ নাইট্রেট রূপে ভূগর্ভস্থ জলে গিয়ে মিশছে। মাটির নীচ থেকে তোলা পানীয় জলের সঙ্গে সেই নাইট্রেটও আমাদের শরীরে প্রবেশে করছে। যার ফলে ক্যান্সারের মতো রোগ হতে পারে।

তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে সারসত্য বুঝেছেন কৃষকরা। রাসায়নিক সারের বদলে জৈব সারেই জীবনের রসদ খুঁজছেন তাঁরা। জৈব সার প্রয়োগ করে দেশি ধান চাষ ব্যাপক হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন  উত্তর দিনাজপুরের কৃষকরা। তুলাইপাঞ্জি, বহুরূপী, পারিজাত, বাঁশফুলের মতো দেশী ধানের ফলনও ভালো হচ্ছে।বাজার থেকে কেনার বদলে নিজেরাই সার তৈরি করে মাটির স্বাস্থ্যরক্ষার কথাও চিন্তা করছেন চাষিরা। সারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা প্রায় ৬৪০ প্রজাতির ধান নিয়ে রায়গঞ্জে  গবেষনা করছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

রাসায়নিক সারের বদলে নিজেদের তৈরি জৈব সার ব্যবহার করে চাষীরা ফসল ফলানোর পাশাপাশি  বীজ সংরক্ষণ করতে পারছেন। যার ফলে লাভের মুখও চাষীরা দেখতে পারছেন বলে দাবি তাঁদের। দুই দিনাজপুরের পাশাপাশি সারা দেশে সরকারি সহযোগিতায়  চাষীদের দেশী ধানের বীজ সরবরাহ করার উদ্যোগ  শুরু হয়েছে বলে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে।রায়গঞ্জ ব্লকের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা,  বিভিন্ন প্রজাতির ধান  কৃষকরা কিভাবে চাষ করবেন সে বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের মতওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার স্তরে।রাসায়নিক ব্যবহার না করে জৈব সার প্রয়োগে কৃষকরা বেশ লাভের মুখ দেখছেন বলে জানান কৃষকরা।  

Related Articles