ট্রেনে করে গোটা পরিবারকে নিয়ে কলকাতার বেহালার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন উমা
Uma left for Calcutta Behala with the whole family by train

Truth Of Bengal: নদিয়া,মাধব দেবনাথ: অন্য আর পাঁচটা সাধারণ রাতের মতো সারারাত ঘুম নয়! মাঝরাতেই উঠে পড়তে হয়েছে উমাকে। আর দুটো রাত মাঝে তারপরেই মহালয়া। চার ছেলেমেয়েকে রেডি করে ভোর তিনটে বাইশের ডাউন শান্তিপুর লোকাল ধরতে হবে যে! পুজিতা হতে নদীয়ার শান্তিপুর গোপালপুরের সৌরভ সাহার কারখানা থেকে প্রথমে ভ্যানে চড়ে শান্তিপুর স্টেশন। তারপর ট্রেনে চেপে শিয়ালদহ। সেখান থেকে ভক্তের আনা গাড়িতে সড়কপথে বেহালা বরিশায়।
রাতের অন্ধকার ভেদ করে, মা চলেছেন ট্রেন ধরতে তাকে ঘিরেই সমগ্র বিশ্ববাসী বাঙালির উৎসব। তাই ফুল ব্যবসায়ী থেকে জামা কাপড় বিক্রেতা বা ভোরে সড়ক অথবা রেলপথে যাতায়াত করা ব্যবসায়ী কিংবা সাধারণ মানুষ যে যার কাজে যাওয়ার আগে দুর্গতিনাশিনী মায়ের দর্শন পেয়ে বড়ই খুশি!
তবে কার্তিক এবং গণেশ হয়তো বড়ই দুরন্ত। তাই মায়ের কোল থেকে তাদের খুলে রাখা হয়েছে সিটের পাশে পিচ বোর্ডের বাক্সে। শিল্পালয় মৃৎ শিল্পের কারখানা মালিক সৌরভ সাহা জানালেন ২০২০ সালে তিনি প্রথম অর্ডার পেয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রেলপথ বন্ধ থাকার কারণে প্রশাসনিক অনুমতি সাপেক্ষে সড়কপথে মাকে রওনা করিয়েছিলেন প্রথমবার।
এরপর থেকে অবশ্য প্রতিবারই ট্রেন পথে। মায়ের চালি লাগানো এবং চূড়ান্ত সাজ সজ্জা লাগাতে দুই মৃৎশিল্পী কে পাঠানো হচ্ছে মায়ের সাথে। তাদের টিকিট লাগলেও মায়ের কিংবা তার চার ছেলে মেয়ের কোনো বুকিংয়ের ব্যবস্থা নেই তাই একপ্রকার বিনা টিকিটেই রেল কর্তৃপক্ষর ভক্তিপূর্ণ সদিচ্ছায় মা রওনা দিলেন।