অফবিটরাজ্যের খবর

প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বিশ্ব ম্যানগ্রোভ দিবসে বৃক্ষরোপণ

Tree Plantation at Sundarban

The Truth of Bengal: নাসার স্যাটেলাইট ডাটার তথ্য ধরলে জানা যায়, ম্যানগ্রোভ বনকে বলা হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কার্বন পরিশোধক। এই গাছ, বায়ুমণ্ডল থেকে দীর্ঘমেয়াদে কার্বন ডাই অক্সাইড সরিয়ে ফেলতে পারে। রাষ্ট্রসংঘের তথ্যমতে, পৃথিবীর ১৭% কার্বন নিঃসরণের ক্ষতি কমিয়ে দিতে সাহায্য করে ম্যানগ্রোভের অরণ্য। ম্যানগ্রোভ দেহকোষ গহ্বরে লবণ সংগ্রহ করে রাখে। সাদা এবং ধূসর ম্যানগ্রোভের দুইটি আলাদা গ্রন্থি থাকে, সেগুলি নুন পরিশোধন করে।

সমুদ্রের উচ্চ ঢেউ যখন লবণাক্ত জল বয়ে আনে, তখন ম্যানগ্রোভ বন এই জলকে প্রতিহত করে এবং যতটুকু জল গায়ে লেগে থাকে, শ্বাসমূল তা পরিশোধন করে। এছাড়াও ম্যানগ্রোভ বন জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলকে রক্ষা করে। এতসব উপকারের পরও আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা নিতে ব্যর্থ হচ্ছি। এবার সচেতন হওয়ার পালা, সেই লক্ষ্যেই বনদফতর নতুন পদক্ষেপ করতে উদ্যোগী হয়েছে।

আন্তর্জাতিক একটি সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ১৯৫৯ সালে সুন্দরবনে প্রতি হেক্টরে সুন্দরী গাছের সংখ্যা ছিল ২১১টি। ২০২০ সালে এই সংখ্যা এসে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৮০টিতে। এছাড়াও সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রাণীও অস্তিত্ব সংকট বাড়ছে। ১৯৫৯ সালে সুন্দরবনে প্রতি হেক্টরে সুন্দরী গাছের সংখ্যা ছিল ২১১টি। ২০২০ সালে এই সংখ্যা এসে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৮০টিতে। এছাড়াও সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রাণীও অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। ফলে, এখনই সচেতন না হলে, আগামী দিনে গভীর সংকট অপেক্ষা করছে মানবজাতির জন্য।

Related Articles