স্ত্রীকে প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন স্বামী, ঠিক যেন ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমার কাহিনি
The husband handed over his wife to his lover

The Truth of Bengal: ঠিক যেন ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমার গল্প। সিনেমার ত্রিকোণপ্রেমের সেই কাহিনি বাস্তবে দেখা গেল বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে। নিজের স্ত্রীকে প্রেমিকার হাতে তুলে দিলেন স্বামী। প্রেমিকের জন্য চলতে থাকা দাম্পত্য কলহ আর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাননি স্বামী। তাই তিন বছরের সন্তানকে নিজের কাছে রেখে স্ত্রীকে তুলে দিলেন প্রেমিকের হাতে। মনে আছে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমার গল্প? ত্রিকোণপ্রেমের এই ছবিটির গল্প আজও অনেকের মনে গেঁথে আছে। সেই জন্য সিনেমাটি অনেকেরই পছন্দের তালিকায় প্রথম দিকে রয়ে গিয়েছে। সলমন খান, ঐশ্বর্য রাই এবং অজয় দেবগণ অভিনীত এই ছবিটির গল্প আর পাঁচটা সিনেমার থেকে অনেকটাই আলাদা ছিল। ঐশ্বর্যের সঙ্গে অজয় দেবগনের বিয়ে হওয়ার পর স্বামীই তাঁকে পৌঁছে দেন প্রেমিক সলমনের কাছে।
বিখ্যাত সেই সিনেমার গল্প দেখা গেল বাস্তবে। নিজের স্ত্রীকে প্রেমিকার হাতে তুলে দিলেন স্বামী। ঘটনাটি বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বর এক নম্বর ব্লকের মল্লারপুর থানার পোড্ডা গ্রামের। নাড়ুগোপাল মণ্ডল নামে যুবকের বিয়ে হয়েছিল মল্লারপুর থানার সন্দিগারা গ্রামের স্মৃতি মণ্ডলের সঙ্গে। প্রথমদিকে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। সময় এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় চিত্রনাট্য। নানা কারণে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। যা এখন মাত্রাছাড়া জায়গায় পৌঁছে যায়। তবে এই ঝামেলার পেছনে ছিল স্মৃতি মণ্ডলের আগের সম্পর্ক। কৃষ্ণ মণ্ডল নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। সেই সম্পর্ক ভুলতে পারেননি স্মৃতি।
যা জানতে পারেন তাঁর স্বামী নাড়ুগোপাল মণ্ডল। স্ত্রী স্মৃতির মন যখন তাঁর কাছে নেই, তখন তিনি এর উপায় বের করলেন। স্ত্রীকে কৃষ্ণ মণ্ডলের হাতে তুলে দিলেন। ময়ূরেশ্বরে বাস্তবে দেখা গেল ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমার গল্প। একমাত্র সন্তানকে নিজের কাছে রেখে নাড়ুগোপাল মণ্ডল স্ত্রীকে তুলে দিলেন প্রেমিকার হাতে। নাড়ুগোপালের স্ত্রী স্মৃতি বেশ কয়েকবার তাঁকে ছেড়ে প্রেমিক কৃষ্ণ মণ্ডলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এই সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন নাড়ুগোপাল। কিন্তু, নাছোড় স্ত্রী স্মৃতি ফিরে যেতে চাইছিলেন প্রেমিকের কাছে। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন নাড়ুগোপাল। তাঁর আগে অবশ্য গ্রামের মানুষের উপস্থিতিতে উভয়ে সম্পর্ক ত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। ত্রিকোণ প্রেমের এক অন্যরকম আখ্যান রচিত হল ময়ূরেশ্বরে।