১০০ দাঁতাল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা ঝাড়গ্রাম, কীভাবে হবে ভোটগ্রহণ?
The entire Jhargram is running on 100 teeth, how will the voting be?

The Truth Of Bengal : দেবব্রত বাগ-ঝাড়গ্রাম : ১০০ হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে। তাদেরকে সামাল দিয়ে সুষ্ঠ ভাবে ভোট করাই বড় চ্যালেঞ্জ বনদফতর এর। একমাত্র মাওবাদী অধ্যুষিত জেলা হলেও মাওবাদী নয়। মাথা ব্যাথার কারন হাতি। হাতিতে এই মুহুর্তে নাজেহাল ঝাড়গ্রাম জেলা। ভোটের দিন এবং তার আগের দিন হাতি কে সামাল দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে বনঞ্চল চারটি ডিভিশন এ বিভক্ত। এই চারটি ডিভিশন এ প্রায় ১০০টার কাছাকাছি হাতি অবস্থান করছে এই মূহুর্তে।
তার মধ্যে শুধু ঝাড়গ্রাম ডিভিশনেই রয়েছে। ৭৩টি হাতি। খড়গপুর ডিভিশন এ ২২টি হাতি। বাকি ২/৩ টা করে মেদিনীপুর এবং রুপনারায়ন ডিভিশনএ। হাতির গতিবিধি অনুযায়ী ঝাড়গ্রাম ডিভিশন ইতিমধ্যে ১৪০ টি বুথ কে সেনসিটিভ চিন্হিত করেছে। বাকি তিনটি ডিভিশন নেয়ে সেনসিটিভ বুথের সংখ্যা ২০০র বেশী। জঙ্গল লাগোয়া এই সমস্ত বুথ গুলো তে থাকছে বিশেষ নজরদারি। রেঞ্জ অনুযায়ী ভাগকরে সেই সমস্ত রেঞ্জে ৩থেকে ৫ টি করে মোবাইলটিম ২টি করে হূলা টিম, এবং ৩টি করে গাড়ি র ব্যাবস্থা রাখা হচ্ছে। এর সাথে সেন্ট্রালি থাকা ঐরবত কে প্রয়জন অনুসারে মুভ করানো হবে। ভোট কর্মীরা যখন জঙ্গল লাগোয়া বুথ গুলোয় যাবেন তখন আগে থেকে হাতির মুভমেন্ট এ জেনে নিরাপদ রাস্তা দিয়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে।
বুথ এলাকার পাশাপাশি হাতি থাকলে তৎক্ষনাৎ হুলা দিয়ে তাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেওয়া হবে। ২৩তারিখ থেকে হাতির প্রতিটা পদক্ষেপ এর গতিবিধি নজর রাখা শুরু করবে বনদফতর। একি রকম ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে বাকি তিনটি ডিভিশন এও। ভোর ভোর ভোটার রা ভোট দিতে লাইন দেন। জঙ্গল রাস্তা ধরে যাতায়াত করেন। হাতি থাকলে রাত থেকেই সেই সমস্ত জঙ্গল রাস্তা বন্ধকরে দেওয়া হবে। বসানো হচ্ছে ড্রপ গেট ও। সবমিলিয়ে হাতির হানায় যাতে একজন ভোটার ও না ক্ষতি গ্রস্ত হয় তার সব রকাম ব্যাবস্থা করা হয়েছে জঙ্গল মহল জুড়ে। মাওবাদী সমস্যার সময়ও বোধহয় এত নাজেহাল হতে হয়নি। প্রশাসন কে যা হাতি নিয়ে মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাড়িয়েছে।