জলাশয় বাঁচাতে কড়া নজরদারি, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় উদগ্রীব রাজ্য সরকার
Strict surveillance to save water bodies

The Truth Of Bengal : এই কড়া বার্তা বারবার সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে উদগ্রীব রাজ্য সরকার।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রশাসন দুই পথে পুকুর সহ জলাশয় বাঁচানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। একদিকে আইন অনুযায়ী জমি মাফিয়াদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে আর অন্যদিকে,নাগরিক সচেতনতা বাড়িয়ে জলাশয় বাঁচানোর কাজ চলছে জোরকদমে।রাজ্যের পরিসংখ্যান বলছে,
- ২০১১-১২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত
- প্রায় ৪ লক্ষ ৫ হাজার জলাশয় তৈরি –সংস্কার
- রাজ্যে ৮,০৬০টি সমতুল্য জলাশয় গড়ার কাজ
- সম্পন্ন হয়েছে এর মধ্যে
- পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ২৭০টি জলাশয় তৈরি ও
- সংস্কারের কাজও চলছে দ্রুত গতিতে
এর মাঝেও প্রশাসনের নজরদারির ফাঁক দিয়ে রাজ্যের কিছু অংশে বেআইনিভাবে জলাজমি ভরাটের কাজে সক্রিয় রয়েছে।হুগলির উত্তরপাড়ায় এই ধরণের প্রবণতা বেশ লক্ষ্যনীয়। অক্টোবর মাসে উত্তরপাড়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বেআইনি জলাজমি ভরাটের অভিযোগ ওঠে, এরপর উত্তরপাড়া ১২ নম্বর ওয়ার্ড নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানানো হয়। এরপরেই ১২ নং ওয়ার্ড এর “বেণী মাধব ঘোষ লেন” এর পুকুর বোজানোর কাজ বন্ধ হয়।
১৯-নভেম্বর তারিখে ১২ নং ওয়ার্ড কমিটির অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ওয়ার্ড এর “বেণী মাধব ঘোষ লেন ” এর একটি ৭৫ % বোজানো হয়ে যাওয়া পুকুর পরিদর্শনে আসেন “ভূমি ও ভূমিসংস্কার ” দপ্তরের আধিকারিকরা I এলাকার মানুষের সাথে কথা বলেন এবং আশ্বাস দেন এই ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন I এখন স্থানীয় পুরসভাও রা্জ্যের আইনের শাসনকে মান্যতা দিয়ে পরিবেশরক্ষার কাজে আরও সজাগও সক্রিয় যে হচ্ছে তা বলাই যায়।জমি মাফিয়া বা প্রোমোটারদের থাবা থেকে জলাশয় বাঁচানোর কাজ জোরদার হলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে পরিবেশবিদের অভিমত।
FREE ACCESS