ফুটবলপ্রেমী ব্রিটিশদের ক্লাব রিষড়ায় স্পোর্টিং ক্লাব, জেনেনিন তার ইতিহাস?
Sporting Club is a British football club, do you know its history?

Truth Of Bengal: হুগলি,রাকেশ চক্রবর্তী: ব্রিটিশদের রিপন ক্লাবই বর্তমানে স্পোর্টিং ক্লাব। হাজারো প্রতিকূলতা পেরিয়ে ১১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই ক্লাব। জানা আছে কি সেই ক্লাবের ইতিহাস?
সেকালের এই ক্লাব রিপন ক্লাব নামে নামাঙ্কিত ছিল। হেস্টিং জুট মিলে ব্রিটিশরা কাজ করার পরে রিষড়ায় গার্লস স্কুলের পোড়া মাঠে ফুটবল খেলতেন। ফুটবলপ্রেমী ব্রিটিশরা সবাই ছিলেন রিপন ক্লাবের সদস্য। তারপর তারা যখন এখান থেকে চলে যান দায়িত্বভার দিয়ে যান রিষড়ার কিছু সদস্যদের।
সালটা ১৯০৯, রিপন ক্লাবের নাম পরিবর্তিত হয়ে হলো রিষড়ায় স্পোর্টিং ক্লাব। স্বাধীনতার আগে থেকেই ফুটবলে রিষড়ার নাম আলোকিত করেছে এই স্পোর্টিং ক্লাব। তারপর থেকে শুধুমাত্র ফুটবল তা নয় তার সঙ্গে বিভিন্ন খেলার মধ্যে দিয়ে রিষড়া শহরের বুকে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই ক্লাব। বাংলা তথা ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছে এই ক্লাবের বহু ফুটবলার। শিশির ঘোষ, সমীর চৌধুরী, চঞ্চল ভট্টাচার্য, তরুণ দত্ত প্রত্যেকেই একসময় ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন। বলাই বাহুল্য তারাও একসময় এই ক্লাবেই খেলেছেন।
তবে এই ক্লাবের নাম যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে বিভিন্ন প্রতিকূলতা। শতাধিক বছরের বেশি হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত এই ক্লাবের নিজস্ব কোন মাঠ নেই। রিষড়া লেলিন মাঠে দীর্ঘদিন ধরে স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্যরা ফুটবল প্র্যাকটিস করত। কিন্তু কিছুদিন যাবত লেলির মাঠের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মাঠের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে ওঠে। তবে বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় রিষড়ার পুরপ্রধান। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে লেলিন মাঠ সংস্কারের কাজ। তবে লেলিন মাঠে যে শুধুমাত্র রিষড়ায় স্পোর্টিং ক্লাব খেলার প্র্যাকটিস করে তা নয়। রিষড়া শহরের যেসব ক্লাবের নিজস্ব মাঠ নেই তারা লেনিন মাঠের বিভিন্ন জায়গায় ফুটবল ক্রিকেট বিভিন্ন কিছু প্র্যাকটিস করায়।
যদিও আগামী তিন মাসের মধ্যেই রিষড়ায় ক্রীড়া প্রেমীদের জন্য সুসজ্জিত লেলির মাঠ উপহার দিতে চলেছে রিষড়ায় পুরসভা। সাধারণভাবেই এই খবর শুনে খুশি ক্রীড়া প্রেমী থেকে ক্লাব সদস্যরা। লেলীন মাঠ সংস্কার হলে তাদের দৈনিক অভ্যাসের জন্য অন্যত্র যেতে হবে না বলে জানান তারা এবং শতবর্ষাধিক রিষড়া এই ক্লাবের ঐতিহ্য বহাল থাকবে। তবে বাংলার বুকে এরম ক্লাব কালচারের এই ঐতিহ্য তেমন একটা নেই বললেই চলে।