রাজ্যের খবর
Trending

মহাকাশ থেকে মার্কিন চিকিৎসা, সর্বত্র জয়জয়কার বাংলা মেধার…

Devabrata Dutta of Bankura Showed The Way To The World

The Truth Of Bengal: হৃদপিন্ডের অজানা রহস্যের সমাধান করলেন  বাঁকুড়ার দেবব্রত দত্ত।আমেরিকায়  হৃদরোগ নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। হৃদরোগের চিকিত্সা থেকে ওষুধ তৈরি সবেতেই বাঁকুড়ার ভূমিপুত্রের সুনাম ছড়িয়েছে। চিকিত্সার জগতে বিশেষ সাড়া ফেলা এই  কৃতী চিকিত্সকের কথা তুলে ধরা হয়েছে নেচার পত্রিকায়। তাঁকে  কুর্নিশ করছে জেলার মানুষ।

মহাকাশ গবেষণাগার থেকে মার্কিন চিকিত্সা গবেষণা,সব জায়গায় বাংলার মেধার জয়জয়কার।এবার  হৃৎপিণ্ডের অজানা রহস্যের সমাধান বের করে বিশ্বকে পথ দেখালেন বাঁকুড়ার রতনপুরের দেবব্রত দত্ত।তাঁর গবেষণার সাফল্য স্বরূপ এখন  হৃদরোগের পারমাণবিক কারণ খুঁজতে অত্যাধুনিক ক্রায়ো ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ এবং স্বয়ংক্রিয় বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।অ্যাক্টিন এবং মায়োসিন, এই দুই প্রোটিন পরস্পরের এলে হৃদপিণ্ডের অলিন্দ বা নিলয় সঙ্কুচিত হয় এবং দূরে চলে গেলে প্রসারিত হয়। যে কোনও কারণে অ্যাক্টিন বা মায়োসিনের পারমাণবিক গঠনগত পরিবর্তন হলে হতে পারে হৃদরোগ। অ্যাক্টিন ফিলামেন্টের মলিকিউলার গঠন জানা থাকলেও। অজানা ছিল মায়োসিন ফিলামেন্টের মলিকিউলার গঠন, সেই কাজটাই করলেন চিকিৎসক দেবব্রত দত্ত।নেচার পত্রিকার পাতায় হৃদপিন্ড নিয়ে গবেষণার সাফল্যের কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়েছে।সন্তানের সাফল্যের কাজে চোখে জল এসে যাচ্ছে তাঁর মায়ের।বাঁকুড়া থেকে  ইউনিভার্সিটি অফ ম্যাসাচুসেটস মেডিক্যাল স্কুলে গবিষক হিসেবে উত্তোরণের  কথা জানার পর গর্বে বুক ভরে উঠছে পরিবার-পরিজন থেকে বন্ধু-বান্ধব সবার।অতীতকথা বলতে গিয়ে মা জানাচ্ছেন,তাঁর সন্তান একসময় পড়াশোনার জন্য খাওয়া পর্যন্ত ভুলে যেত।

তাঁর গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল নেচারে। বাঁকুড়ার ভূমিপুত্র দেবব্রত দত্তের প্রাথমিক শিক্ষা রতনপুরে হলেও, পুরুলিয়ার রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ থেকে মাধ্যমিক পাস করেন তিনি। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজিয়েট স্কুল থেকে।

কলকাতা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে রসায়ন নিয়ে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেন। তারপর আইআইটি খড়্গপুর থেকে বায়োটেকনোলজি নিয়ে পিএইচডি করেন ২০১৯ সালে। পিএইচডিকরে আমেরিকার পাড়ি দেন তিনি। বর্তমানে তিনি ইউনিভার্সিটি অফ ম্যাসাচুসেটস মেডিক্যাল স্কুলে একজন হৃদ-বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করছেন।আগামীতে এই কৃতী গবেষক, বিশ্বের সেরা গবেষকের  সম্মান পান,চাইছেন বাঁকুড়ার মতোই রাজ্যের চিকিত্সকরাও।

Free Access

Related Articles