পরিবেশের স্বার্থে বাঁচাতে হবে মাটি! সাইকেলে চেপে বার্তা গোটা দেশে
Soil should be saved for the Environment

The Truth of Bengal: আধুনিকতার জন্য আজ কোপ পড়ছে পরিবেশে। যথেচ্ছ গাছ যেমন কাটা পড়ছে, তেমনই ভূ-পৃষ্ট থেকে কমে যাচ্ছে মাটির ভাগ। যার সামগ্রিক প্রভাব পড়ছে পরিবেশে। বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া। ক্ষতি হচ্ছে জীববৈচিত্রে। মাটি না বাঁচালে আগামীদিনে আমাদের জন্য আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করে আছে। তাই বাঁচাতে হবে মাটি। আর সেই মাটি বাঁচানোর বার্তা দিতে পথে নামলেন এক পরিবেশপ্রেমী। গোটা দেশে তিনি সেই বার্তা ছড়িয়ে দিতে চান। সাইকেলে চেপে কৃষ্ণনগর থেকে কোয়েম্বাটুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন পেশায় শিল্পী পলাশ পাইক।
গত ৭ আগস্ট তিনি যাত্রা শুরু করেন। বৃহস্পতিবার তিনি পৌঁছন বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তের পুরনো কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের কাছে। দু’নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে তিনি এগিয়ে চলবেন। প্রায় ৮০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তিনি বহু মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন মাটি বাঁচানোর বার্তা। মূলত বিশ্বজুড়ে চাষযোগ্য জমির পুনরুদ্ধার ও তার উর্বরতা বৃদ্ধির আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি। বারবার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে চাষের জমি একদিন মৃতবৎ হয়ে পড়ে। তাই যথেচ্ছ রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের বদলে জমিতে জৈব সার ব্যবহারের ডাক দিয়েছেন তিনি।
তাঁর বিশ্বাস, মাটি বাঁচানোর যে বার্তা তিনি দিচ্ছেন তাতে সাড়া দেবে মানুষ। কারণ মানুষকে নিজের জন্য বাঁচাতে হবে মাটি। মাটি বাঁচানোর বার্তা দিতে পথে নামা পলাশ পাইক সোজা কোয়েম্বাটুর পৌঁছবেন। তার যাত্রাপথে রয়েছে কাশী বিশ্বনাথ, কেদারনাথ, সোমনাথ ও মহাকালেশ্বর মন্দির দর্শন। মাটি বাঁচাও-এর ডাক দিয়ে যাত্রার জন্য বর্ষা ঋতুকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। সাইকেল নিয়ে এই দীর্ঘ যাত্রাপথে কিছু অসুবিধা থাকলেও মানুষে সহযোগিতা পাচ্ছেন। সবাই এগিয়ে এসে তাঁকে সাহায্য যেমন করছেন, তেমন উৎসাহ দিচ্ছেন।