প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপের কারখানা! স্কুলে আসা বন্ধ শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়াদের
Snake factory in primary school! From teachers to students, they stopped coming to school

Truth of Bengal: ‘বাপুরাম সাপুড়ে কোথা যাস বাপুরে’ সুকুমার রায়ের এই কবিতার কথা মনে পড়ে যায়। না মনে পড়লে ঘুরে আসুন মালদা শহরের এই স্কুল থেকে। ইংলিশ বাজার পৌরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি আবাসনের ভেতর অবস্থিত রেন্টাল হাউসিং এস্টেট প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে এখন রাসেল ভাইপার থেকে শুরু করে গোখরোর মত বিষধর সাপেদের আঁতুড় ঘর। আর এই সাপের আতঙ্কে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে পড়ুয়ারা।
এরই মধ্যে আজ সকালে আবারো এই বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম থেকে উদ্ধার হল বিশাল আকৃতির পাঁচ ফিটের এক চন্দ্রবোড়া। অভিযোগ এই বিদ্যালয় থেকে সাপ উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম নয় এর আগেও বহুবার উদ্ধার হয়েছে। বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের ভেতর বড় বড় সাপের গর্ত। অন্ধকার স্যাঁতসেঁতে ঘর। আতঙ্কে ঘরে ঢুকতে না প্রধান শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়ারা। বন্ধ হয়ে রয়েছে মিড ডে মিল।
এদিকে কোন কোন দিন হাতে গোনা এক দুজন পড়ুয়া আসলে বিদ্যালয়ের বাইরেই গাছের নিচে চলে পড়াশোনা। তবে সাপের আতঙ্কে বেশিরভাগ দিনই বন্ধ থাকে বিদ্যালয়। সময় মত প্রধান শিক্ষিকা আসেন ঠিকই কিন্তু পড়ুয়ারা না আসায় বসে থেকে তিনি ফিরে যান। বিদ্যালয়ের এই সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন ডি আই মলয় মন্ডল।
এদিকে শুধু যে বিদ্যালয়ে ক্লাসরুমে সাপের আতঙ্ক তাই নয়। সরকারি আবাসনের একাধিক কোয়ার্টার ও সাপের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন সরকারি আবাসনের আবাসিকরাও।