
The Truth of Bengal: শীতের সকালে শিশির ভেজা ঘাস আর ঘন কুয়াশায় চাদরে মোড়া গ্রামীণ জনপদ। পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে সকালের ঘুম ভাঙে। শীতের সকালে এক গ্লাস খেজুরের রস দিয়ে যায় মনে তৃপ্তি। শীতের আমেজকে যেন বাড়িয়ে দেয় খেজুরের রস। শীত যত বাড়ে খেজুর রসের মিষ্টত্বও তত বাড়ে। শীতের সময় খেজুরের রস দিয়েই গ্রামীণ জনপদ শুরু হয় শীতের আমেজ। সুস্বাদু এই রস আগুনে জ্বাল দিয়ে বানানো হয় বিভিন্ন রকমের পাটালি ও লালি গুড়। আবার নলেন গুড়ের মাহাত্ম্যই আলাদা।
এই গুড়ের স্বাদ নেওয়ার অপেক্ষায় থাকে বাঙালি। তবে এই গুড় তৈরিতে অনেক কসরত করতে হয়। প্রতিদিন বিকেলে শিউলিরা নলি, কোমরবন্ধ রশি সঙ্গে নিয়ে খেজুর গাছের কিছুটা বুক চিরে ছোট-বড় কলসি ও হাড়ি বেঁধে রাখেন রসের জন্য। পরদিন সকালে সেই রস সংগ্রহ করেন শিউলিরা। কেউ কেউ এই কাঁচা রস বাজারে বিক্রি করেন। অনেকেই আবার এই রস দিয়ে গুড় তৈরি করেন। দিঘায় দেখা গেল রস থেকে গুড় তৈরিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে শিউলিদের। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ কেজি গুড় বিক্রি করেন এক একজন ব্যবসায়ী।
প্রতি কেজি গুড়ের দাম ১০০-১৫০ টাকা। সকালে অনেকেই খেজুরের রস খেতে আসে। প্রতি গ্লাস রসের দাম ১০ টাকা। এখানে যে গুড় তৈরি করা হয় সেই গুড় সাধারণ মানুষ যেমন কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তেমনই মিষ্টি প্রস্তুতকারকরাও কিনে নিয়ে যান। খেজুর গুড় দিয়ে এখন নানারকম মিষ্টি তৈরি হয়। মরসুমের শুরুতে এখন তাই ব্যস্ততা তুঙ্গে শিউলিদের। সারাদিন বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় চলছে রস সংগ্রহ এবং সেই রস থেকে চলছে গুড় তৈরি।