রাজ্যের খবর

শান্তিকেতনের হেরিটেজ অঞ্চলে যান নিয়ন্ত্রণ প্রশাসনের

Shantiniketan update

The Truth of Bengal: শান্তিকেতনকে হেরিটেজ তালিকায় জায়গা করে দেওয়ার জন্য লড়াই দীর্ঘদিনের।  ২০১০ থেকেই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্বভারতীকে মর্যাদা দেওয়ার উদ্যোগ দেখা যায়। ২০১০-এ শান্তিনিকেতনের ইউনেস্কো-স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা সফল হয়নি। ২০২১-এর গোড়ায় ফের বিশ্ব-স্বীকৃতির জন্য কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়।  তারপর তেইশে অবশেষে স্বীকৃতি পেয়েছে বিশ্বভারতী।স্বীকৃতির কারণ হিসেবে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের উদার বিশ্ববোধের আলোয় গড়ে ওঠা স্থাপত্যের কথা বলেছে ইউনেস্কো। উপনিবেশের অনুকরণে না হেঁটে প্রাচ্যের নান্দনিকতারও যা স্মারক।

কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক ও ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (এএসআই) উদ্যোগে বিশ্ব-স্বীকৃতি এলেও এ বার তা অটুট রাখতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকেই উদ্যোগী হতে হবে। কিন্তু সেই উদ্যোগ যদি বিতর্ক তৈরি করে তাহলে রবীন্দ্রস্মৃতিধন্য প্রতিষ্ঠানকেও প্রশ্নের মুখে ফেলতে বাধ্য।হেরিটেজ তালিকায় জায়গা পাওয়ায় শান্তিনিকেতনের বিতর্কিত রাস্তায় শুরু হয়েছে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ।  উপাসনা গৃহ,ছাতিমতলা সহ ঐতিহ্যপূর্ণ জায়গায় টোটো চলাচলে লাগাম টানা হয়েছে।সরিয়ে দেওয়া হয়েছে খাবারের দোকান।পর্যটকরা এই পদক্ষেপকে মোটের ওপর সঠিক বলেই মনে করছেন।কারণ তাঁদের অভিমত,যান নিয়ন্ত্রণ করা হলে পর্যটকদের চলাচলের পক্ষে তা  কিছুটা সুবিধাজনক।

সাধারণ মানুষ থেকে আশ্রমিক সকলেই চাইছেন,নিরিবিলি ক্যাম্পাসে যানবাহনের ভিড় কমুক।এদিকে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যে রাস্তাটি ফেরত চেয়েছে সেটি দীর্ঘ সাড়ে তিন কিমি। আশ্রম প্রাঙ্গণ থেকে কালিসায়ের পর্যন্ত। এর মধ্যে ৫০০ মিটার হেরিটেজ এর অধীনে পড়ছে বলে বিশ্বভারতী সূত্রে খবর। যার মধ্যে আশ্রম প্রাঙ্গণ, পথ ভবন, কাঁচ মন্দির, রবীন্দ্র ভবন, কলা ভবন, সঙ্গীত ভবন রয়েছে। এই ৫০০ মিটারে কড়াকড়ি শুরু হচ্ছে। আশ্রমিকরা যদিও, টোটো সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কোনও বিরোধিতা করেননি। তবে আগামী দিনে বিশ্বভারতী পুরো রাস্তাটি নিজেদের অধীনে আনার চেষ্টা করবেন বলেই আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

Free Access

Related Articles