রাজ্যের খবর

অসহায় শিশুদের ভালোবাসার প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে শান্তিকুঞ্জ

Shantikunj has become an institution of love for helpless children

The Truth of Bengal: যাঁদের কেউ নেই,তাঁদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। সন্তানস্নেহে মানুষ করছেন অনাথ শিশুদের। ব্যবসায়ী দেবাশিস চক্রবর্তীর মানবসেবার আদর্শ প্রতিষ্ঠান শান্তিকুঞ্জ এখন অসহায় শিশুদের ভালোবাসার প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। মালদার হবিবপুরের এই আশ্রমে পড়াশোনা থেকে গান-বাজনা, বাগান পরিচর্যা থেকে আশ্রমের সৌন্দর্যায়ন,সবই আলাদা আনন্দের সঙ্গে করে  খুদেরা।

তিনি মানুষ গড়ার কারখানা খুলেছেন। নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে অসহায় শিশুদের ভবিষ্যত তৈরি করছেন। শিশুদের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন স্নেহের দাদু। আর সমাজের কাছে তিনি একজন আদর্শ মানুষ। মালদার ব্যবসায়ী দেবাশিস চক্রবর্তীর স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানের নাম শান্তিকুঞ্জ। এই শান্তিকুঞ্জে ঠাঁই পান ঠাঁইহারা শিশুরা। যাঁদের বাবা, মা ছেড়ে চলে গেছে।যাঁদের পথে পথে ঘুরতে হয় তাঁদেরই স্নেহছায়ায় মানুষ করছেন এই দরদী মানুষটি। উপার্জনের সিংহভাগ শুধুই হবিবপুরের আশ্রমের জন্য ব্যয় করেন।বানপুরের সেই জীবন তৈরির প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ৪০খুদে। এখানে থেকেই তারা পড়াশোনা করে, আদর –ভালোবাসা দেওয়ার পাশাপাশি লেখাপড়ার সহজপাঠও দেন তিনি। খেলারছলে পড়ার কথা কচিকাঁচাদের মনে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সাবলীল পরিবেশে পড়াশোনার পাশাপাশি গান-বাজনা,বাগান পরিচর্যা থেকে আশ্রমের সৌন্দর্যায়ন,সবই করে ছোট্ট শিশুরা।

জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনাথ শিশুদের খুঁজে বার করে এক ছাতার তলায় আশ্রয় দিয়েছেন এই সমাজসেবী। নিজের গাঁটের টাকা খরচ করে মালদার প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি করেছেন শান্তিকুঞ্জ আশ্রম। প্রায় দেড় বছর আগে এই আশ্রম তৈরি করেছেন। ‌এখন সার্বিক প্রচেষ্টায় চলছে আশ্রমটি। একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা নিয়মিত এখানকার আশ্রমিকদের পড়াশোনা করান। পাশাপাশি তাদের নাচ, গান সহ বিভিন্ন শরীর চর্চা করানো হয়। প্রতিটি শিশু স্থানীয় প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। আশ্রমে থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে অনাথ এই শিশুগুলি। বহু গুণী জ্ঞানী ব্যক্তি মাঝেমধ্যেই এই আশ্রমে আসছেন। শিশুদের সঠিক পথে পরিচালনার দিশা দেখাচ্ছেন। রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীরাও এই মানবহিতকর প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

Related Articles