উদ্বোধন হল শ্রীরামপুর হেরিটেজ এন্ড ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালের
Serampore Heritage and Tourism Festival inaugurated

Truth of Bengal: ক্রিসমাস এবার অন্য রকম হতে চলেছে শ্রীরামপুরে। শ্রীরামপুর পুরসভার পরিচালনায় রাজ্য পর্যটন দফতরের সহযোগীতায় শ্রীরামপুর হেরিটেজ এন্ড ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল এর মাধ্যমে।
শ্রীরামপুর এক সময় ডেনিসদের কলোনি ছিলো। গঙ্গার পশ্চিম পারে ডেনিসদের বহু স্থাপত্য রয়েছে। এগুলোই ডেনিসদের ইতিহাস বহন করে। ডেনিস গভর্নর হাউস, ডেনিস টাভার্ন, শ্রীরামপুর কলেজ, উইলিয়াম কেরীর সমাধি, সেন্ট ওলাভ চার্চ। এছাড়াও রয়েছে মাহেশ জগন্নাথ মন্দির আর রাধাবল্লভ মন্দির।
প্রতিবছর ক্রিসমাস উপলক্ষে চার্চ সাজিয়ে তোলা হয়। বড়দিন পালিত হয়। কিন্তু এবছর সেই উৎসব ধারে-ভারে অনেকটা বড়ো হচ্ছে।
চার্চের সামনে নানা আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। উৎসব উপলক্ষে এনএস অ্যাভিনিউ, সেন্ট ওলাভ গির্জার সামনে নানা জায়গা আলোয় সাজানো হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর থেকে সূচনা হবে উৎসবের। চলবে ২রা জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন থাকবে সঙ্গীত সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা। পার্কস্ট্রিট থেকে ভার্চুয়ালি ক্রিসমাস উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শ্রীরামপুরে সেন্ট ওলাভ চার্চে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বেচারাম মান্না, হুগলি জেলা শাসক মু্ক্তা আর্য, চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, হুগলি গ্রামীন পুলিশ সুপার কামানাশিস সেন, বিধায়ক সুদীপ্ত রায়, অরিন্দম গুঁইন, শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক শম্ভুদ্বীপ সরকার। এছাড়াও পুরসভার চেয়ারম্যান গিরিধারী সাহা, রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান বিজয় সাগর মিশ্র, বৈদ্যবাটির চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাত উপস্থিত ছিলেন উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে।
গিরিধারী সাহা বলেন, শ্রীরামপুরে অনেক স্থাপত্য আছে। চার্চকে নিয়ে একটা উন্মাদনা থাকে বড় দিনের সময়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে আনতে চান তারা। পাশাপাশি বারো দিনের উৎসবে প্রতিদিন থাকছে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শ্রীরামপুর নিয়ে আলোচনা।
পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন,শ্রীরামপুরের এই উৎসবে পরিবহন দপ্তর থেকে একটি প্রমোদ তরী দেওয়া হচ্ছে।শ্রীরামপুর থেকে ব্যান্ডেল চার্চ চলবে প্রতিদিন।
বেচারাম মান্না বলেন,পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এটা করেছেন সব সম্প্রদায়ের উৎসবে সবাইকে সামিল করে। ধর্ম যাই হোক উৎসব সবার সম্প্রীতির উৎসবে পরিনত হয়েছে।