বড়দিনের আগেই হাজির! সান্তা সেজে খুশি বিলি খুদেদের মাঝে
Santa clause sits among the happy kids

Truth Of Bengal: বড়দিনের আগেই শ্রীরামপুরে হাজির সান্তাক্লজ। নিজের ঝুড়ি থেকে বিভিন্ন উপহার বার করে তুলে দিচ্ছেন ছোট ছোট পড়ুয়া থেকে এলাকার বাচ্চাদের হাতে। তবে এ সান্তা সেই সান্তা নন, ইনি হলেন হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়। বড়দিনের আগে বাচ্চাদের মধ্যে বড়দিনের আনন্দ ভাগ করে দেওয়ার জন্য নিজেই বেরিয়ে পড়েছেন সান্তাক্লজ সেজে। বড়দিনের আগে সেজে উঠেছে হুগলির শ্রীরামপুর। এবার ডেনিস নগরীতে ক্রিসমাসের আগে চলে এসেছেন স্বয়ং সান্তা। সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন তার আনন্দের ঝুলি। সেই ঝুলি থেকে কেক, লজেন্স, বিস্কুট বের করে তুলে দিচ্ছেন ছোট ছোট পড়ুয়াদের হাতে। শ্রীরামপুর রাজবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বাচ্চাদের একটি স্কুল। বড়দনের আগে সেই স্কুলেই এসে হাজির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ। তবে তাঁর বেশভূষা দেখে চেনার উপায় নেই। পরনে সান্তাক্লজের লাল জামা। গালে সান্তাবুড়োর মতোই সাদা দাড়ি, মাথায় লাল টুপি।
জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় তখন বাচ্চাদের কাছে একেবারেই সান্তাক্লজ। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রতি বছরের তিনি বড় দিনের আগে বাচ্চাদের একটু বাড়তি আনন্দ দিতে পৌঁছে যান বিভিন্ন স্কুলে। মূলত বিশেষ চাহিদা বাচ্চাদের সম্পন্ন যে স্কুলগুলি রয়েছে সেখানে পৌঁছে বাচ্চাদের মধ্যে একটু আনন্দ বিতরণ করেন। এই বছর তিনি শ্রীরামপুরে এসে বাচ্চাদের হাতে বড় দিনের আগে তুলে দিলেন কেক, পেস্ট্রি, লজেন্স বিস্কুট প্রভৃতি।
বড়দিনের আগে বড়দিনের উপহার পেয়ে খুশি কচিকাঁচারা। সময়ের আগেই যে তাদের কাছে হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় সান্তাক্লজ সেজে হাজির হবনে তা জানতো না ওরা। তাই একটু অবাক হলেও সবাই খুশি।