২০০টি যাত্রীবাহী ট্রেনকে অগ্রাধিকার, সঠিক সময়ে ট্রেন চালানোয় জোর পূর্ব রেলের
Priority given to 200 passenger trains, Eastern Railway stresses on running trains on time

Truth Of Bengal: সঠিক সময়ে ট্রেন চালানোর প্রতি বাড়তি নজর দিচ্ছে পূর্ব রেল। শিয়ালদা, হাওড়া ডিভিশনে নিয়মানুবর্তিতায় বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। সেইমতো পূর্ব রেলের তরফে যাত্রীদের সহযোগিতা করার আবেদন করা হয়েছে। নতুন বছরে আশা করা হচ্ছে ঠিক সময়ে ট্রেনে চড়ার ইচ্ছেপূরণ হবে যাত্রীদের।
গণপরিবহণের লাইফলাইন রেল। পূর্ব রেলের হাওড়া ও শিয়ালদা শাখা মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। ঠিক সময়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর রেল কর্তৃপক্ষ৷ ট্রেন চালক থেকে গার্ড এবং রেলের সকল কর্মীদের বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্দিষ্ট ৩০সেকেন্ডের মধ্যে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেন ছাড়ার নির্দেশিকা জারি করা হয় আগেই। টাইম টেবিল অনুযায়ী, ট্রেন ছাড়ার ক্ষেত্রে নিয়মানুবর্তিতা আনতেই এই ঘোষণা করা হয়৷ এবার যাত্রীবাহী ট্রেন সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানোর কাজে জোর দিল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে রেল প্রশাসনের তরফ থেকে শনিবার এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে অফিসযাত্রী, পড়ুয়া, কারিগর, ছোট ব্যবসায়ী, কৃষির উৎপাদক বা কৃষকদের সুবিধার্থে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন চালানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সকালের ব্যস্ততম সময়, বিকেলে যাত্রী পরিবহণের গুরুভার বহন করে। হাজার হাজার মানুষের জীবনের প্রবাহ বজায় রাখার জন্য এই ট্রেনের নিয়ম মেনে চলা যে জরুরি সেকথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে। যাত্রীবাহী ট্রেনের মধ্যে রয়েছে, শিয়ালদহ ডিভিশনের শিয়ালদা-লালগোলা, হাসনাবাদ, গেদে, বনগাঁ, রানাঘাট, ডানকুনি, কল্যাণী সীমান্ত, লক্ষ্মীকান্ত পুর,ডায়মন্ডহারবার, ক্যানিং, বজবজ বিভাগের ট্রেনগুলি। এছাড়াও হাওড়া ডিভিশনের হাওড়া-বর্ধমান, কাটোয়া, তারকেশ্বর, গোঘাট। আসানসোল ডিভিশনের আসানসোল, জেসিডি, বৈদ্যনাথ ধাম।
খানা–আসানসোল বিভাগের ট্রেনগুলো এই সময় মেনে ট্রেন চালানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মালদা ডিভিশনের সাহিবগঞ্জ, ভাগলপুর, জামালপুর, মালদা-আজিমগঞ্জ শাখায় এই নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন হিসেবে ২০০ ট্রেনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ১১১টি লোকাল এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন। হাওড়া ডিভিশনের ৬৬টি, মালদা ডিভিশনের ১২টি, আসানসোল বিভাগের ১১টি ট্রেনকেও এই অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, যাত্রীবাহী ট্রেনের সময়ানুবর্তিতার ক্ষেত্রে, পূর্ব রেল ৮৬.৯০শতাংশ সাফল্য পেয়েছে। আগামীদিনে একশো শতাংশ সাফল্য লাভের জন্য পূর্বরেল যুদ্ধকালীন তৎপরতা জারি রেখেছে।