
The Truth of Bengal: মাটির দাম বেড়েছে, ফলে বাড়তি গ্যাঁটের কড়ি খরচ করতে হচ্ছে মৃৎশিল্পীদের। কিন্তু মাটির পাত্র তৈরি করার পরেও, বাজারে তার চাহিদা তৈরি হচ্ছে না। বিক্রিবাটাও আগের থেকে কমে গিয়েছে। ফলে সমস্যায় রয়েছেন উত্তরদিনাজপুরের ইসলামপুরের পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা। সময় বদলাচ্ছে, ধীরে ধীরে আধুনিকতা গ্রাস করছে গ্রামকেও। সময়ের সঙ্গে হারিয়ে গিয়েছে বহু পেশা, আগামী দিনে মৃৎশিল্পীদের পেশাও কি হারিয়ে যাবে!
এখন এই প্রশ্ন ঘোরা ফেরা করে কুমোরপাড়ার অলিতে গলিতে। মাটির দাম বাড়ছে, সেই সঙ্গে কমছে মাটির পাত্রের চাহিদা।পরিবর্তে জায়গা করে নিচ্ছে, প্লাস্টিক, আর কাগজ। ফলে দিনদিন সমস্যায় পড়ছেন পেশাদার কুমোররা। বাজারে এখনও চায়ের দোকানে অনেকেই মাটির ভাঁড় পছন্দ করেন। তাই সেই চাহিদা রয়েছে। কিন্তু অন্য আর সমস্ত পাত্রের চাহিদা গত কয়েক বছরে অনেকটাই কমেছে।
বর্তমানে গবেষকরা বলছেন, পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখতে হলে প্লাস্টিককে বর্জন করতে হবে। তার পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব কিছু উপাদান ব্যবহার করতে হবে। পরিবেশবিদদের মত, বর্তমান দুনিয়ায় মাটিরপাত্রের তুলনায় পরিবেশবান্ধব আর কিছুই হয় না। পরিবেশকর্মীদের মত, পরিবেশ বাঁচাতে হলে, মৃৎশিল্পীদেরও বাঁচাতে হবে। এ বিষয়ে সরকারকে কোনও জনমুখী প্রকল্প নিতে হবে।