রাজ্যের খবর

গোপনাঙ্গ-জুতোর তলায় লুকোনো মোবাইল, নার্সিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে এসে ধৃত একাধিক ছাত্রী

Mobiles hidden under the soles of private parts-shoes, several students were caught appearing for the nursing entrance exam

The Truth Of Bengal: পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের নানা পদ্ধতির কথা আমরা দেখে থাকি। এবার এমনই এক ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ির এক স্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রে। মোবাইল ব্যবহারের অভিযোগে ধরা পড়লেন একধিক পরীক্ষার্থী। রবিবার ‘এএনএম’ ও ‘জিএনএম’ নার্সিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা ছিল বীরভূম জেলার সিউড়িতে বেনীমাধব ইনস্টিটিউশনে। সেখানে পরীক্ষা দিতে আসা বেশ কয়েকজন ছাত্রীর কাছ থেকে উদ্ধার হয় মোবাইল ফোন। কারও গোপনাঙ্গে তো কারও জুতোর তলায় লুকোনো ছিল ফোনগুলি। অন্তত ১২ টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে শুধুমাত্র এই একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে।

জানা গিয়েছে, মালদা থেকে বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন সিউড়ির ওই স্কুলে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে প্রাথমিক পর্যায়ের তল্লাশিতে কিছু বুঝতে পারেননি তত্বাবধানে থাকা শিক্ষকরা। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর কয়েকজন পরীক্ষার্থীদের উপর সন্দেহ হয় শিক্ষকদের। তখনই কর্তব্যরত মহিলা পুলিশকর্মীকে ডেকে আবার তল্লাশি নেওয়া হয় তাদের। দ্বিতীয় দফায় তল্লাশি চালিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় কর্তৃপক্ষের।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজয় কুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘দ্বিতীয় দফায় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালানোর পর দেখা যায়, কেউ হিল জুতোর নীচের অংশ কেটে তার ভেতরে মোবাইল ঢুকিয়ে এনেছেন তো কেউ শরীরের নানা জায়গায় এমনকী গোপনাঙ্গেও মোবাইল লুকিয়ে এনেছেন। এবং সবকটি ফোন পুরানো দিনের কি-প্যাড বিশিষ্ট ফোন।’প্রধান শিক্ষকের এও দাবি, এই কিপ্যাড ওয়ালা ফোনগুলি কেবলমাত্র মালদা জেলা থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র আমাদের স্কুল থেকে উদ্ধার হয়েছে ১২টি কিপ্যাড ফোন। অন্যান্য পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে খবর নিলে এই ধরনের আরও ঘটনা সামনে আসতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা ঘটনায়। পরীক্ষায় কারচুপি করতে গিয়ে যারা ধরা পড়েছেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, এজন্য তারা পুরো ঘটনাটি কাউন্সিলকে জানিয়েছেন। পরবর্তীতে কাউন্সিল যা ব্যবস্থা গ্রহণ করার তা করবে।

Related Articles