
The Truth of Bengal: বেশ কিছু বছর হল কোচবিহারের সাগরদিঘির বুক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল পরিযায়ী পাখির দল। শীতের শেষে আবার এসেছে ওরা। শেষবার ওদের দেখা গিয়েছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। হেরিটেজ তকমাপ্রাপ্ত হওয়ার পর সম্প্রতি সীমানা প্রাচীর নিচু করায় কিছুটা বন্ধন মুক্ত হয়েছে সাগরদিঘি। আর সেই কারণেই ওরাও হয়তো নতুন করে ফিরে এসেছে পুরনো জায়গায়। পরিবেশপ্রেমীরা জানিয়েছেন, আগে প্রতি বছর শীতের শুরুতেই ওরা চলে আসত সুদূর সাইবেরিয়া থেকে। আর সাগরদিঘি মুখরিত হয়ে থাকতো ওদের কলতানে। তবে সাগরদিঘির চারপাশে কোলাহলের জন্য ওদের সমস্যা বেড়েছিল।
সেই সঙ্গে সাগরদিঘির চারপাশ আরও সুন্দর করার জন্য সিমেন্ট বালি ব্যবহার করায় জল দূষিত হয়েছিল। সেই কারণে ওই পরিযায়ী পাখিরা মুখ ফিরিয়ে নেয়। বেশ কয়েক বছর তাদের দেখা না মেলায় মন খারাপ ছিল রাজনগরবাসীর। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শীতের শেষে আবার দিঘির বুকে পাখির কলতান শুরু হয়েছে। পরিযায়ী পাখিরা ফিরে আসায় খুশি এলাকার মানুষ। খুশি পর্যটকরা।
চারপাশে কোলাহলের কারণে পরিযায়ী পাখিরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল কোচবিহারের সাগরদিঘি থেকে। যার ফলে এখন আর এই পাখি দেখা যায় না। পর্যটকরাও এই পাখি দেখতে এসে হতাশ হয়ে চলে যেতেন। গাড়ির হর্নের দাপট বেড়ে যাওয়ায় সাগরদিঘির চারপাশ সাইলেন্স জোন করার দাবি উঠেছে। সবমিলিয়ে নিজেদের জন্য পরিবেশ অনুকূল না থাকায় দিঘি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল পরিযায়ী পাখিরা। সবার দাবি, দিঘির বুকে শান্তিতে বিচরণ করুক ভিনদেশি পাখির দল। সেই অনুকূল ব্যবস্থা করে দেওয়া হক তাদের।