
The Truth of Bengal: দেখতে দেখতে স্বাধীনতার ৭৫বছরটা বছর পেরিয়ে গেছে।এখনও দেশের আনাচে কানাচে রয়েই গেছে অন্ধকার।আঁধার ঢেকে আছে বহু গরিবের জীবনে,পিছিয়ে পড়ে রয়েছেন অসংখ্য মানুষ।ভারতমাতার প্রতি যাঁরা আমরা সম্মান জানাই তাঁরা কী ভেবে দেখেছি,আঁধার দূর করাও আমাদের দায়িত্ব।দেশমাতৃকার প্রতি অসীম শ্রদ্ধা জানানোর একটি অন্যতম পথ।তাই আসুন আমরাও কিছু সামাজিক দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিই।সেই লক্ষ্যে প্রশাসন যেমন এগিয়ে আসছে তেমনই আমরাও দায়বদ্ধতার নজির গড়তে পারি।দেশের নানা অংশের মতোই পশ্চিমবঙ্গেও রয়েছেন যৌনকর্মীরা।তাঁরা অনেকেই পেটের জ্বালায় এই পেশায় এসেছেন।
তাঁরা চান আগামী প্রজন্ম অন্ধকারের গলি থেকে আলোর পথে ফিরে আসুক।সেই প্রত্যাশাকে মর্যাদা দিয়ে বসিরহাটের মাটিয়ায় আলো জ্বালানোর কাজ চলছে।শিক্ষার জগতে এইসব পল্লীর সদস্যদের নতুন করে প্রাণের ছোঁয়া,স্বাধীনতার বোধ জাগানো হচ্ছে। ১৫ই আগস্ট দেশজুড়ে নতুন করে স্বাধীনতা দিবস পালিত হবে, বিগত বছরগুলির মতো। কিন্তু ওদের নেই স্বাধীনতা, ওদের নেই আর পাঁচটা বাচ্চার মত বেড়ে ওঠার সুযোগ। কারণ ওরা যৌনকর্মীদের সন্তান। সোনাগাছির পর রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম যৌন পল্লী বসিরহাটের মাটিয়ায়। সরকারি হিসাবে সেখানকার যৌনকর্মীর সংখ্যা প্রায় ১০০০। যদিও বাস্তবে সংখ্যাটা অনেক বেশি। রাজ্যের সমাজের আর পাঁচটা বাচ্চার মত এই যৌনপল্লীর শিশুরা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য থেকে অনেকটাই দূরে থাকে।
তাই তাঁদের আলোকমালায় জীবন ভরিয়ে তোলার কাজ এখন জোরদারভাবে চলছে।সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে এনে মানবসম্পদে বলিয়ান করার মিশন নেওয়া হচ্ছে। পল্লীর অন্ধকারময় গলিতে তাদের বেড়ে ওঠা। কিন্তু তারাও তো চায় খেলতে আর পাঁচটা বাচ্চার মত পড়াশুনা করে সমাজ তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করতে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে। প্রাথমিক পর্যায়ে এক বছর থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামী দিনে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী অবধি ক্লাস চালু করে স্কুলটিকে বাড়ানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে বসিরহাট দুর্বার সমিতির।স্বাধীনতা দিবসে আরও স্কুলের উদ্বোধন হচ্ছে। সেখানে আরও পড়ুয়া পড়বে এইসব ছেলেমেয়ের জীবনে মুক্তির আলো মিলবে বলে আশা বসিরহাটের সমাজকর্মীদের।