
Truth Of Bengal: শুক্রবার দোল পূর্ণিমা। মথুরা-বৃন্দাবনের মতোই দোল উত্সবে মেতে উঠবেন নবদ্বীপ,শান্তিপুরের মানুষও। ফাল্গুনী পূর্ণিমায় এই দোলযাত্রা উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে। কথিত আছে,শ্রীধাম বৃন্দাবনে শ্রীরাধিকা ও অন্যান্য গোপিনীদের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে ওঠেন শ্রীকৃষ্ণ। সেজন্য দোলপূর্ণিমায় কৃষ্ণভক্ত বা বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীরা শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধার বিগ্রহ নিয়ে শোভাযাত্রায় সামিল হন। মেতে ওঠেন আবির খেলায়।শুধু ধর্মীয় সংস্কৃতিতেই নয়,সাহিত্যেও বসন্ত উত্সবের কথা পাওয়া যায়।
সনাতন সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত থাকা এই দোল পূর্ণিমায় চটকদর কেমিক্যাল রংয়ের ব্যবহার কমিয়ে ভেষজ আবির ব্যবহারের চল বাড়ছে। স্বাস্থ্যসম্মত,রংয়ের বাহারে জীবন রাঙিয়ে তোলার এই বসন্ত উদযাপন এখন আলাদা মাত্রা পেয়েছে।চর্মরোগ থেকে বাঁচতে উত্সবের অন্দরমহলে ফুল-ফল থেকেই রং তৈরির কালচার কলকাতার মতোই বেড়েছে নদিয়ায়।শান্তিপুরের উদ্যোগী পরিবেশবান্ধব সংস্থা আবিরে ঔজ্বল্য বজায় রাখতে নানা কৌশল নিয়েছে।
শান্তিপুর পুরসভার পরিচালিত এই দিশারী নামে একটি সংস্থার আশ্রয়স্থলে রয়েছে অনেক ভবঘুরে এবং গৃহহীন মানুষ। তাদের তিনবেলা খাবার এবং চিকিৎসার খরচ সবটাই পুরসভার দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে।তাদের অবসর সময়ে ভেষজ আবীর তৈরি করে রোজগরের দিশা দেখানোর প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। কেমিক্যাল ছাড়া বিষমুক্ত ভেষজ আবিরের মাধ্যমে দোল উত্সব পালন করার চল বাড়ায় উদ্যোগী সংস্থাগুলোও এই বিকল্প আবির তৈরিতে উত্সাহ পাচ্ছে।