লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বরাদ্দ বেড়ে হবে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা: মন্ত্রী উদয়ন গুহ
Lakshmi Bhandar allocation will be increased from Rs 1,500 to Rs 2,000: Minister Udayan Guha

Truth Of Bengal: কোচবিহার উত্তর বিধানসভা এলাকায় অনুষ্ঠিত হল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধানসভা ভিত্তিক কর্মীসভা। রবিবার কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের বাঁকালির মঠ পঞ্চায়েত সমিতির মাঠে এই কর্মীসভা আয়োজিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, দলের চেয়ারম্যান গিরিন্দ্র নাথ বর্মণ, প্রাক্তন বিধায়ক হিতেন বর্মণ, আব্দুল জলিল আহমেদ, সজল সরকারসহ জেলার ও বিধানসভার বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বরাদ্দ বেড়ে হবে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা: মন্ত্রী উদয়ন গুহ pic.twitter.com/FKCwmtgggy
— TOB DIGITAL (@DigitalTob) February 9, 2025
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, “আমি নেতা বা মন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন সাধারণ তৃণমূল কর্মী হিসেবে বলছি— ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন।” লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, “৫০০ টাকা ১০০০ হয়েছে, ১০০০ টাকা ১২০০ হয়েছে, এবার তা ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা হবে। মায়েদের জন্যই এই অর্থ দেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে পরপর তিনবার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। এমনকি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও কয়েক হাজার ভোটে পরাজয় হয় দলের। সেই কারণেই আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য করে তৃণমূলের তৃণমূল স্তরে জনসংযোগ কর্মসূচি জোরদার করা হয়েছে।
মহিলাদের উদ্দেশে উদয়ন গুহ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা ভারতে প্রথম পশ্চিমবঙ্গে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করেন। ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ৫০০ টাকা থেকে ১০০০, আর ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা হবে। ৫ এপ্রিল মা-বোনদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছিল। কিন্তু অনেকেই সেই টাকা পেয়েও তৃণমূলকে ভোট না দিয়ে বিজেপিকে ভোট দিলেন, ফলে সেই ভোট নষ্ট হয়ে গেল।” তিনি আরও বলেন, “নিজের ভবিষ্যৎ, পরিবারের উন্নতি চাইলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্তিশালী করুন। ২০২৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসকে জয়ী করুন, যাতে মহিলাদের আরও আর্থিক সহায়তা দেওয়া যায়।”
২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহার উত্তরে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এবং জনগণের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এই কর্মীসভা ছিল সেই পরিকল্পনারই অংশ।