দুর্ঘটনার ৪৯ ঘণ্টা পর জিজ্ঞাসাবাদ আধিকারিকদের
Interrogating officials 49 hours after the accident

The Truth Of Bengal : কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার ৪৯ ঘণ্টা পর শুরু হল তদন্ত প্রক্রিয়া। বুধবার গেটম্যান স্টেশন মাস্টার, অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেশন মাস্টার, সিগনালিং সিস্টেম অপারেটর সহ মোট কুড়ি জনের বয়ান রেকর্ড করল কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। তিনটি সিগন্যাল পেরিয়ে কেন চার নম্বরে গিয়ে কিভাবে দাঁড়ালো ট্রেন? মালগাড়ি গাড়ি কি অতিরিক্ত গতিতে যাচ্ছিল? কোন সময় কোন গেট দিয়ে ক্রস করেছে মালগাড়ি এইসব একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতেই গেটম্যানদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। কি করে নজর এড়িয়ে গেল রেল কর্মীদের? নাকি প্রযুক্তিগত ত্রুটি? রেলের তরফ থেকে দুর্ঘটনার দায় চাপানো হয়েছে মালগাড়ি চালকের বিরুদ্ধে।
যদিও দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন। পেপার সিগনালিং এর মাধ্যমে সকাল থেকেই ওই রুটে ট্রেন চলাচল করছিল সেই তথ্য ইতিমধ্যে রেলের তরফে জানানো হয়েছে। অটোমেটিক সিগন্যাল সিস্টেম কাজ করছিল না। মেমোর ভিত্তিতে লাল সিগনাল কে উপেক্ষা করে ট্রেন চলাচল করছিল। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস রাঙাপানি স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার 15 মিনিট পর মালগাড়ি রাঙাপানি স্টেশনে আসে। তাকেও একইভাবে মেমোর মাধ্যমে সিগনাল দেওয়া হয়। তাহলে কি করে দুটি ট্রেনের সংঘর্ষ হল? এই একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তদন্তে কমিশন অফ রেলওয় সেফটি।
রেল দুর্ঘটনা হলেই সাধারণত ধরে নেওয়া হয় চালকের গাফিলতি। কিন্তু কখনো কেউ জানতে চান না আদতে এই চালকদের দিয়ে কতক্ষণ কাজ করায় রেল। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মালগাড়ি চালক দুর্ঘটনার আগের চার দিন রাতের ডিউটি করেছে। যে কারণে দুর্ঘটনার মুহূর্তে চালক ঝিমিয়ে পড়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। একই সঙ্গে জোরপূর্বক মালগাড়ির চালকদের অতিরিক্ত ডিউটি করানোর অভিযোগ আরও তীব্র হচ্ছে এই দুর্ঘটনার পর।