পরিবেশ রক্ষার্থে অভিনব উদ্যোগ নদিয়ার যুবকের, সবুজায়নের এই দৌড় বিস্মিত করবে আপনাকেও
Innovative initiative of the youth of Nadia to protect the environment

The Truth of Bengal: মায়ের আর্শীবাদ নিয়ে মাতৃভূমি দর্শনে বেরিয়েছেন ছেলে। তেরঙ্গা পতাকা হাতে নিয়ে শান্তিপুরের ফুলিয়া থেকে দৌড় শুরু করেছেন মাহিতোষ ঘোষ। অযোধ্যা,বৃন্দাবন হয়ে যাবেন ভূস্বর্গে। তাঁর এই মিশন-কাশ্মীরের উদ্দেশ্য কী জানেন? আসলে দূষণের দাপট কমাতে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে মাহিতোষ বার্তা দিতে চান। দৌড়বীরের একটাই কথা, গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান। সবুজায়নের জন্য এই দৌড় সবমহলে সাড়া ফেলছে।
হাতে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা নিয়ে দৌড়াচ্ছেন যুবক।সঙ্কল্প নিয়েছেন, বৈচিত্র্যে ভরা ভারতে সবার উর্ধ্বে সবুজের ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য। কোথাও থামার লক্ষ্ণণ নেই।তাঁর লক্ষ্য যেন স্থির। নদিয়ার শান্তিপুরের ফুলিয়া থেকে যাত্রা শুরু করেছেন বছর ২৫-র মাহিতোষ ঘোষ। মাহিতোষের লক্ষ্য,কাশ্মীর। বাংলা থেকে দৌড় শুরু করে অযোধ্য,বৃন্দাবন হয়ে ভূস্বর্গ কাশ্মীরে যাবেন। এই ২৫০০ কিলোমিটার মিশন কাশ্মীরের উদ্দেশ্য একটাই.দূষণের দাপট এবার কমুক। গাছ লাগিয়ে দেশবাসী স্বস্তির ছায়ায় সুরাহা পাক।মাতৃভূমির ঋণ মেটানোর মতোই মায়ের আর্শীবাদ তাঁর কাছে পাথেয়। এই দৌড় শুরু করার পিছনে যে কারণ সবথেকে তাঁকে ভাবায় তা হলো, জীবনের কষ্টের দিনগুলো। একসময় শ্বাসকষ্টে ভুগতেন এই যুবক।রোগ সারানোর জন্য দৌড় শুরু করেন চিকিত্সকদের পরামর্শে।সেই থেকে দৌড়ের মাধ্যমেই মহত্ কিছু করার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নেন মাহিতোষ। ঘোষ।যেখানে দেশের আকাশে দূষণের কালোছায়া পড়ছে,সেখানে গাছ লাগানোর অভ্যাস বাড়ানোর কথা বলতে চান এই সবুজ রক্ষার সারথী।
এখন ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা থেকেই তাঁর রোজগার। ফুলিয়ার নিজের বিদ্যালয় অর্থাৎ শিক্ষানিকেতনের মাঠ থেকে কালনা, হয়ে বর্ধমান এর উপর দিয়ে ঝাড়খন্ড, বিহার,উত্তর প্রদেশ,দিল্লি হয়ে তাঁর র গন্তব্য কাশ্মীর। প্রায় ৪৮ দিনের পথ চলার সাথে, তার সঙ্গে থাকে তিনটি সাইকেল এবং সহযোগী তিনজন। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তারাই বহন করছেন। রাস্তাতে তাঁবু খাটিয়ে বিশ্রাম করবেন। ভবিষ্যতে আরও বহু দূরের রাস্তা দৌড়ে অতিক্রম করে বাংলা তথা ভারতবর্ষের মুকুটে নতুন পালক যোগ করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য তাঁর।সবুজময় ভারত গড়ার কথা জনমনে ছড়িয়ে দেওয়ার এই মিশন সবমহলে সাড়া ফেলছে।