বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের নদীও সমুদ্রে জারি হাই অ্যালার্ট
In the current situation of Bangladesh, high alert has been issued in the river and sea of Sundarban

The Truth of Bengal: বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার থেকে সুন্দরবনের নদীও সমুদ্রে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। জলসীমানায় ২৪ঘন্টা টহল দিচ্ছে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর হোভারক্রাক্ট। সুন্দরবনের সবকটি উপকূল থানায় জলপথে পেট্রোলিং জারি আছে। এপার বাংলায় যাতে কেউ ঢুকতে না পারে সেজন্য পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। মোতায়েন করা হয়েছে সীমান্ত রক্ষীর অতিরিক্ত বাহিনী।
১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিল। বাঙালির গর্বের রাষ্ট্র গঠনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।বর্তমান সময়ে সেই বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে।শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর পরেই সীমান্তে নজরদারি বাড়ায় বিএসএফ। সোমবার থেকেই ভারত –বাংলাদেশ সীমান্তে বিশেষ নজরদারি জারি রেখেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ।বিভিন্ন জেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট।বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী পেট্রাপোল সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী।সীমান্তে যেমন স্থলপথে অনুপ্রবেশ রুখতে কঠোর নজরদারি লাগু করা হয়েছে। তেমনই সুন্দরবনের নদীও সমুদ্রে জারি হয়েছে হাইএলার্ট। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের জল সীমানতে ২৪ ঘন্টা টহলে তত্পর ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর হোভারক্রাফ্ট। ইতিমধ্যে সুন্দরবনের ফ্রেজারগঞ্জ ঘাঁটিতে পৌঁছে গিয়েছে উপকূল রক্ষী বাহিনীর বিশেষ হোভারক্রাফ্ট। উপকূল রক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি সুন্দরবনের সবকটি উপকূল থানা এলাকায় জলপথে পেট্রোলিং চলছে। যাঁদের বাংলাদেশে বাস তাঁরাও উদ্বেগে রয়েছেন।
দুই পারের মানুষের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। শিকড়ের টানে এপার বাংলায় যান অনেকেই। মনের টানে,মাটির প্রতি মায়ায়,সেরকমই উত্তরবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন মতি অধিকারী। তাঁকে সীমান্ত পেরিয়ে এপারে আসতে নানা বাধার মুখে পড়তে হয়। টেনশন,উত্কণ্ঠায় দাঁড়ি পড়ে যখন তিনি এপারে ফিরে আসেন। মতি অধিকারীর মতো অসংখ্য মানুষ চান,বাংলা ভাষার ভিত্তিতে তৈরি বাংলাদেশে শান্তি থাক,সুস্থিতি থাক। ওপার থেকে এপারে যাতে অনুপ্রবেশকারীরা না ঢুকতে পারে সেজন্য সতর্ক সীমান্তরক্ষী বাহিনী। মহদিপুর সীমান্ত এলাকাজুড়ে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ। যাঁরা বাংলাদেশে আটকে রয়েছেন তাঁদের দ্রুত ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।