অসময়ে দুর্গাপুজো, হয় শিব-দুর্গার বিয়েও!
Durga Puja at an untimely time, Shiva and Durga's wedding is also possible!

Truth Of Bengal: মহাসমারোহে রানাঘাটে শুরু হয়েছে মহিষমর্দিনী পুজো। অসময়ে দুর্গা পুজোর আমেজ। দুর্গাপুজোর নিয়ম মেনেই পঞ্চমী থেকে দশমী হয় মায়ের আরাধনা।এখানকার বিশেষত্ব শিব-দুর্গার বিয়ে। জল সাজা থেকে মালা বদল, অতিথি আপ্যায়ন সবই নিয়ম মেনে হয়। মূলত ব্যবসায়ীদের পুজো হিসেবে পরিচিত মহিষমর্দিনী।
নদিয়ার প্রাচীন শহরর রানাঘাটে অসময়ে দুর্গাপুজোর আমেজ। যা মহিষ মর্দিনী পুজো হিসাবে পরিচিত। প্রায় সাড়ে তিনশো বছর ধরে রানাঘাটের বড়বাজার এলাকায় এই পুজো হয়ে আসছে। পুজোকে ঘিরে রয়েছে অনেক ইতিহাস। কথিত আছে কুমার ষাটপুরের জমিদারের রানাঘাট বড়বাজার এলাকাতে ব্যবসা ছিল। তিনিই প্রচলন করেন এই পুজোর। দুর্গাপুজোর নিয়ম মেনেই পঞ্চমী থেকে দশমী পুজোর আয়োজন হয়। তবে এখানকার বিশেষত্ব, শিব-দুর্গার বিয়ের আয়োজন। অষ্টমীর দিন জল সাজা এবং নবমীর দিন ধুমধাম করে দিয়ের আসর বসে। কয়েক হাজার বরযাত্রীর আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকে। ওইদিন সন্ধ্যা আরতির পর এই বিয়ের আসর বসে। যেখানে মালাবদল থেকে অন্যান্য সমস্ত নিয়ম মেনে শিব-দুর্গার মধ্যে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
একবার এই বিয়ের আসরে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। কথিত আছে, চূর্ণী নদীপথে যাওয়ার সময় এই পুজোর কথা শুনে নৌকো নোঙর বাঁধেন এবং পূজোর আসরে পৌঁছান তিনি। পরবর্তীতে রানাঘাটের পালচৌধুরী জমিদারবাড়ির সদস্যরা এই পুজো চালিয়ে গিয়েছেন। এক সময় রানাঘাটের এই অংশে নদীপথে বাণিজ্য হতো। বহুদূর থেকে এই বড়বাজারে আসতেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কোনও অজানা কারণে মাঝে পুজো বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিমার কাঠামোটি নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই কাঠামো ভাসতে ভাসতে কালনায় ওঠে আর তারপর কালনাতেও এই পুজো শুরু হয়।
এখন কালনা এবং রানাঘাট এই দুটি এলাকাতেই মহিষমর্দিনী পুজোর প্রচলন রয়েছে। প্রাক্তন কাউন্সিলর শঙ্কর অধিকারী, ক্লাব সভাপতি সমীর শিকদার, সহ-সভাপতি অরুন কুন্ডু, সম্পাদক অচিন্ত্য কুন্ডু, নাড়ুগোপাল সরকার সহ অন্যান্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রানাঘাট মহিষমর্দিনী মন্দিরে শুরু হয়েছে পুজোর আয়োজন। পূজো উপলক্ষে এলাকায় বসেছে মেলা।